প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩০:০১ : আজকের দিনে শহরেও বাগান করার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। জায়গার সীমাবদ্ধতা থাকলেও অনেকেই বারান্দা, ছাদ, রান্নাঘরের কোণ কিংবা উঠোনে টবে গাছ লাগিয়ে সবুজায়নের আনন্দ উপভোগ করছেন। এই রান্নাঘর বাগানের প্রবণতা শুধু বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াচ্ছে না, বরং পরিবারকে দিচ্ছে তাজা ও স্বাস্থ্যকর শাকসবজি এবং ফল।
তবে টবে বাগান করার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সঠিক সার নির্বাচন ও পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ। ভুল সার ব্যবহার করলে গাছ দ্রুত শুকিয়ে যেতে পারে। তাই প্রাকৃতিক ও জৈব সার ব্যবহারের গুরুত্ব অপরিসীম।
টবে মাটির পরিমাণ সীমিত থাকে। এই অবস্থায় রাসায়নিক সার দিলে শিকড় পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। পরিবর্তে—
ভার্মিকম্পোস্ট (কেঁচো সার)
গোবর সার
শহরের কম্পোস্ট
এসব প্রাকৃতিক সার গাছের জন্য সবচেয়ে উপকারী। বিশেষ করে ভার্মিকম্পোস্টে প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি থাকে, যা ফুল ও ফলের মান উন্নত করে এবং শাকসবজিকে করে তোলে আরও সুস্বাদু।
কাঠজাতীয় গাছ যেমন গোলাপ লাগালে সামান্য ইউরিয়া বা পটাশ ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে খুব সীমিত পরিমাণে।
মৌসুমী ফুল ও সবজি যেমন টমেটো, স্ট্রবেরি বা পালং শাক-এর ক্ষেত্রে একমাত্র জৈব সার ব্যবহার করাই উত্তম।
বর্ষাকালে আর্দ্রতার কারণে টবে পোকামাকড়ের উপদ্রব বেশি দেখা যায়। এই সময় রাসায়নিক কীটনাশকের বদলে নিম তেল স্প্রে বা ঘরোয়া উপায়ে তৈরি জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা ভালো। এগুলো গাছের ক্ষতি করে না, আবার পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও সম্পূর্ণ নিরাপদ।
আপনি যদি নিয়মিত প্রাকৃতিক সার ব্যবহার করেন এবং মাঝে মাঝে নিম তেল স্প্রে করেন, তবে বর্ষাকালে আপনার টবের গাছ হবে সবুজ, সতেজ ও ফুলে ভরপুর।
রান্নাঘরের বাগান একদিকে যেমন ঘরকে করে তোলে সুন্দর, অন্যদিকে আপনার পরিবারকে উপহার দেয় তাজা, নিরাপদ ও রাসায়নিকমুক্ত শাকসবজি ও ফল। তাই বারান্দা বা ছাদে টবের গাছ লাগানোর সময় রাসায়নিক সার এড়িয়ে চলুন, আর ব্যবহার করুন ভার্মিকম্পোস্ট ও গোবর সারের মতো প্রাকৃতিক বিকল্প। এটিই হবে গাছের দীর্ঘায়ু ও সুস্থ বৃদ্ধির মূলমন্ত্র।
No comments:
Post a Comment