ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫: পুজোর আবহে দেশবাসীকে বড় উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দেশ জুড়ে চালু করলেল বিএসএনএল-এর ফোর-জি পরিষেবা। ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের ফোর-জি পরিষেবা এখন দেশের প্রতিটি রাজ্যে পৌঁছে গেছে। এর আগে, বিএসএনএল-এর ফোর-জি পরিষেবা সারা দেশের ভিন্ন-ভিন্ন টেলিকম সার্কেলে চালু হয়েছিল। বিএসএনএল-এর ফোর-জি নেটওয়ার্ক একযোগে ৯৮ হাজার সাইটে রোলআউট করা হয়েছে। বিএসএনএল-এর ফোর-জি পরিষেবা আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ হওয়ায়, সমস্ত টেলিকম কোম্পানি এখন ফোর-জি নেটওয়ার্কে সজ্জিত।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ওড়িশার ঝারসুগুড়া থেকে অন্যান্য প্রকল্পের ঘোষণাও করেছেন। এছাড়া বিএসএনএল তাদের ৫জি পরিষেবা নিয়েও কাজ করছে। বছরের শেষ নাগাদ, রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটি দিল্লী এবং মুম্বাইয়ের মতো মহানগরীতে ৫জি পরিষেবা রোলআউট করতে পারে। কোম্পানির একজন ঊর্ধ্বতন আধিকারিক এই তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল অর্থাৎ ২৬শে সেপ্টেম্বর, বিএসএনএল তার ২৫ বছর পূর্ণ করেছে। এই উপলক্ষে, কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ৯৮,০০০ ৪জি/৫জি মোবাইল টাওয়ার স্থাপনের কথা বলেন। ব্যবহারকারীদের আরও ভালো সংযোগ প্রদানের জন্য কোম্পানি ভবিষ্যতে আরও ৯৭,৫০০ নতুন মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করবে।
বিএসএনএল-এর ফোর-জি নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণরূপে দেশীয় প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি। সরকার জানিয়েছে যে, ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের ফোর-জি পরিষেবার জন্য সফ্টওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার ভারতে তৈরি করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে, ভারত এখন বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি দেশের মধ্যে যোগ দিয়েছে যেখানে ফোর-জি নেটওয়ার্ক দেশীয় প্রযুক্তিতে কাজ করছে। এই নেটওয়ার্ক তৈরিতে ৩৭,০০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এটিকে আত্মনির্ভর ভারতের দিকে বড় পদক্ষেপ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ভারত ছাড়াও সুইডেন, ডেনমার্ক, চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়াও টেলিকম নেটওয়ার্কের জন্য হার্ডওয়্যারের সাথে-সাথে সফ্টওয়্যার বানায়। বিএসএনএল-এর ফোর-জি পরিষেবা চালু হওয়ায় দেশের ৯ কোটি ইউজার সরাসরি উপকৃত হবেন। খারাপ নেটওয়ার্কের কারণে ইউজাররা বেসরকারি টেলিকম অপারেটরদের দিকে ঝুঁকছেন। সরকারি টেলিকম কোম্পানির রিচার্জ প্ল্যানগুলি বেসরকারি কোম্পানিগুলির তুলনায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ সস্তা। উন্নত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে, ইউজাররা তাদের নম্বর বিএসএনএল-এ পোর্ট করতে পারবেন।
ফোর-জি পরিষেবা চালু করার পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী মোদী সিক্স-জি নেটওয়ার্কের প্রস্তুতির কথাও বলেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার দাবী করেছে, ভারতে ৬-জি-র রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতে ৬জি পরিষেবা চালু করা যেতে পারে। ভারত সেই নির্বাচিত দেশগুলির মধ্যে থাকবে যারা প্রথম ৬জি পরিষেবা চালু করবে। ২০২২ সালে নবরাত্রিতে ভারতে ৫জি পরিষেবা চালু হয়েছিল। দ্রুততম গতিতে ৫জি পরিষেবা চালু করার ক্ষেত্রে ভারতের কোনও তুলনা নেই।
টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (টিসিএস) বিএসএনএল-এর ফোর-জি নেটওয়ার্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। নেটওয়ার্ক রোলআউট এবং ইন্টিগ্রেশন করার জন্য কোম্পানিটি কাজ করছে। সেইসঙ্গে বিএসএনএল-এর ফোর-জি নেটওয়ার্কের রেডিও অ্যাক্সেস ডেভেলপ করেছে তেজস নেটওয়ার্ক করেছে। রেডিও নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সিস্টেমের ইন্টিগ্রেটের কাজ সম্পন্ন করা হয়।
No comments:
Post a Comment