চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং ধর্মীয় বিশ্বাস! একই ঘটনার দুটি ভিন্ন দিক - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, September 6, 2025

চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং ধর্মীয় বিশ্বাস! একই ঘটনার দুটি ভিন্ন দিক

 


প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০০:০১ : আকাশে ঘটে চলা অদ্ভুত ঘটনাগুলি মানুষকে সবসময়ই আকর্ষণ করেছে। হঠাৎ যখন পূর্ণিমার চাঁদ অন্ধকারে মিলিয়ে যায়, তখন সেটি শুধু রহস্যময় দেখায় না, বরং এর পেছনে লুকিয়ে থাকে বহু বৈজ্ঞানিক কারণ ও প্রাচীন বিশ্বাস। চন্দ্রগ্রহণ এমনই এক বিশেষ মুহূর্ত, যেটিকে বিজ্ঞানীরা এক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যাখ্যা করেন, আবার ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে নানা আচার-অনুষ্ঠান ও কুসংস্কার।

বিজ্ঞান মতে, যখন পৃথিবী সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে এসে পড়ে, তখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে। এর ফলে চাঁদ আংশিক বা সম্পূর্ণ ঢাকা পড়ে যায়। এই ঘটনা শুধুমাত্র পূর্ণিমার রাতে ঘটতে পারে।

যখন পৃথিবীর ছায়া পুরোপুরি চাঁদকে ঢেকে ফেলে, তখন তাকে বলা হয় পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। এই সময় সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ঘুরে চাঁদের উপর পড়ে, যার ফলে চাঁদ লালচে আভা ধারণ করে। একেই সাধারণভাবে বলা হয় ‘রক্তচাঁদ’ বা ব্লাড মুন। বিজ্ঞানীদের কাছে এটি একেবারেই স্বাভাবিক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, ভয়ের কিছু নয়।

ভারতে চন্দ্রগ্রহণকে শুধু জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনা হিসেবে দেখা হয় না। বরং ধর্মীয় ও জ্যোতিষশাস্ত্রের সঙ্গেও এর গভীর যোগ রয়েছে। পুরাণ মতে, রাহু ও কেতু নামের দুই অসুর সূর্য ও চাঁদের শত্রু। বিশ্বাস করা হয়, এরা গ্রহণকালে চাঁদকে গ্রাস করার চেষ্টা করে, আর সেই প্রক্রিয়াকেই চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়।

অনেকেই চন্দ্রগ্রহণকে অশুভ মনে করেন। এই সময় কিছু নিয়ম মানার চল রয়েছে—

নতুন করে রান্না করা বা রান্না করা খাবার খাওয়া বর্জন করা হয়

গৃহমন্দিরের দরজা বন্ধ রাখা হয়, পূজা বন্ধ থাকে

তবে এই সময় মন্ত্রজপ ও ধ্যান করাকে অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়

গ্রহণের আগে ও পরে নির্দিষ্ট সময়কে ‘সুতককাল’ বলা হয়। এই সময় বিশেষত গর্ভবতী মহিলাদের সাবধান থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়—বাইরে না যাওয়া, ধারালো জিনিস এড়িয়ে চলা এবং বিশ্রামে থাকার নিয়ম প্রচলিত।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad