Sunday, September 21, 2025

পেটের চর্বি গলবে মাখনের মত, এইভাবে খান মেথি বীজ


লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫: সাম্প্রতিক বছরগুলিতে প্রযুক্তি যেমন উন্নত হয়েছে, তেমন শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতাও সমান দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। পেটের চর্বি আজ একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়। কারণ মানুষ কম শারীরিক পরিশ্রম করেন এবং অফিসের চেয়ারে বসে দিন কাটায়। এটি তাঁদের জীবনযাত্রার ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। এর নেতিবাচক প্রভাব শরীরের বিভিন্ন অংশে চর্বি জমার আকারে প্রকাশিত হয়, যার মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক হল পেটের চর্বি। পেটের চর্বিকে ভিসারাল ফ্যাটও বলা হয়।


পেটের চর্বি কীভাবে কমানো যায়?

হার্ভার্ড হেলথের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এই ধরণের চর্বির অনন্য বৈশিষ্ট্য হল এটি অন্যান্য পেটের অঙ্গগুলিকে ঘিরে থাকে, যা সেগুলোর কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। পেটের চর্বি কমানো সহজ নয়, তবে এটি প্রভাবী এবং কার্যকরভাবে করা যেতে পারে, যার জন্য আপনার খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন প্রয়োজন। ওজন কমাতে এবং পেটের চর্বি কমাতে, একজনের উচিৎ স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করা এবং প্রতিদিন শারীরিক কার্যকলাপ করা।



মেথি বীজ সাহায্য করতে পারে-

পেটের মেদ কমাতে মেথি বীজ খুবই সহায়ক হতে পারে। হাজার হাজার বছর ধরে, ভারতীয়, গ্রীক, মিশরীয় এবং রোমান সংস্কৃতির মানুষ মেথি বীজকে মশলা এবং ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। আপনি জেনে অবাক হতে পারেন যে, মেথি বীজ পেটের মেদ কমাতেও সাহায্য করতে পারে।


মেথি বীজ কেন উপকারী?

মেথি বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা পেট ভরা অনুভব করতে সাহায্য করে এবং ঘন ঘন খাওয়া রোধ করে। এটি পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। মেথি বীজে উপস্থিত দ্রবণীয় ফাইবার, যেমন গ্যালাক্টোম্যানান, হজমশক্তি বৃদ্ধি করে, বিপাক বৃদ্ধি করে এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে, খাবারের আকাঙ্ক্ষা কমায়। দ্রুত বিপাক আপনার শরীরের অতিরিক্ত চর্বি দ্রুত পোড়াতে সাহায্য করে।


মেথি বীজ কীভাবে খাবেন?

সবচেয়ে সহজ এবং সর্বোত্তম উপায় হল এক গ্লাস জলে এক চা চামচ মেথি বীজ রাতভর ভিজিয়ে রাখা এবং সকালে জল ছেঁকে খালি পেটে পান করা। আপনি যদি চান, তাহলে আপনি ভেজানো বীজও খেতে পারেন।


আরেকটি উপায় হল মেথি বীজ হালকা করে ভেজে পিষে নেওয়া। আধা চা চামচ মেথি গুঁড়ো হালকা গরম জলের সাথে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে পান করুন। আপনি এই গুঁড়ো স্যুপ বা জুসেও যোগ করতে পারেন।




বি.দ্র: ফিটনেস রুটিন বা খাদ্যতালিকায় কোনও পরিবর্তনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।

No comments:

Post a Comment