প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০০:০১ : প্রাইভেট পার্টে চুলকানি একটি খুবই সাধারণ সমস্যা হলেও অনেকের জন্য এটি বেশ অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। অনেক সময় লজ্জার কারণে মানুষ এই বিষয়টি কাউকে বলতে চান না। নারী-পুরুষ উভয়কেই এর শিকার হতে হয়। অতিরিক্ত ঘাম, অস্বচ্ছতা, টাইট আন্ডারগার্মেন্টস, ফাঙ্গাল ইনফেকশন বা কখনো ইউরিনারি ইনফেকশন থেকেও প্রাইভেট পার্টে চুলকানি হতে পারে। এর সঙ্গে জ্বালা, লালচে ভাব এবং র্যাশও দেখা দেয়। সময়মতো যত্ন না নিলে এটি সংক্রমণ (ইনফেকশন) আকারও নিতে পারে। তবে ভালো খবর হলো—কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় মেনে চললে এই সমস্যা থেকে দ্রুত আরাম পাওয়া সম্ভব।
১. নারকেল তেল (Coconut Oil)
নারকেল তেলে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। এটি ত্বককে ঠান্ডা রাখে এবং চুলকানি দ্রুত কমায়। দিনে ২-৩ বার অর্গানিক নারকেল তেল আক্রান্ত স্থানে লাগান। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং জ্বালা প্রশমিত করে। নিয়মিত ব্যবহার করলে ফাঙ্গাল ইনফেকশনও সেরে যায়। রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করলে আরও ভালো ফল মেলে।
২. আপেল সিডার ভিনেগার
আপেল সিডার ভিনেগার ফাঙ্গাল ও ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ দূর করতে কার্যকর। এক চামচ ভিনেগার এক গ্লাস হালকা গরম জলে মিশিয়ে সেই জল দিয়ে প্রাইভেট পার্ট ধুয়ে নিন। এতে চুলকানি ও জ্বালাভাব দ্রুত কমে। খেয়াল রাখতে হবে, কখনো সরাসরি ভিনেগার লাগানো যাবে না, সবসময় জলে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। দিনে একবার এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
৩. বরফের সেঁক
চুলকানি ও জ্বালা যদি খুব বেশি হয়, তবে বরফ তাৎক্ষণিক আরাম দেয়। পরিষ্কার কাপড়ে কয়েকটি বরফের টুকরো বেঁধে আক্রান্ত স্থানে ৪-৫ মিনিট হালকা হাতে সেঁক দিন। এতে জায়গাটা অবশ হয়ে যায় এবং চুলকানি কমে যায়। তবে বরফ সরাসরি ত্বকে দেবেন না, এতে জ্বালা বাড়তে পারে। দিনে ২ বার এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. নিমপাতার জল
নিমের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ ত্বকের নানা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ১০-১৫টি নিমপাতা জলে ফোটান এবং ঠান্ডা করে সেই জল দিয়ে প্রাইভেট পার্ট ধুয়ে নিন। দিনে ১-২ বার করলে ইনফেকশন ও চুলকানি দুইই কমবে। নিম ত্বককে পরিষ্কার করে এবং র্যাশ দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
৫. পোশাকের যত্ন নিন
প্রাইভেট পার্টে চুলকানি অনেক সময় অস্বচ্ছতা ও টাইট কাপড়ের কারণে হয়। তাই সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি। হালকা ও ঢিলেঢালা কটন আন্ডারগার্মেন্টস পরুন, যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে এবং ঘাম জমে না থাকে। প্রতিদিন অন্তর্বাস বদলান, আর অতিরিক্ত ঘাম হলে দিনে দু’বারও বদলানো ভালো। ইন্টিমেট এরিয়া সবসময় হালকা গরম জলে ধুয়ে নিন, তবে বেশি সাবান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত ক্লিনিং করলে ত্বক শুকিয়ে যেতে পারে, ফলে চুলকানি আরও বেড়ে যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment