ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫: নবজাতকের সঙ্গে নৃশংস আচরণ, মুখে পাথর ঠুসে, আঠা চিপকে, পাথরের চাঁইয়ের নিচে রেখে দেওয়ার ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য। রাজস্থানের ভিলওয়ারা জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। জেলার বিজোলিয়া মহকুমার মাল কা খেদা রোডের সীতাকুণ্ড জঙ্গলে কেউ বা কারা ১০ থেকে ১২ দিনের একটি নবজাতক শিশুকে পাথরের নিচে চাপা দিয়ে রেখে যায়। শিশুটিকে যখন উদ্ধার করা হয়, তখন তার অবস্থা এতটাই ভয়াবহ ছিল, যা যে কারও চোখে জল এনে দেবে।
নবজাতকের সঙ্গে যে বা যারা এই নৃশংসতা-বর্বরতা করেছে, তারা সব সীমা অতিক্রম করে গেছে। সদ্যোজাতের চিৎকার রুখতে তার মুখের ভেতর পাথর ঢুকিয়ে ফেভিক্যুইক দিয়ে সিল করে দেয়। কিন্তু ওই যে কথায় বলে, 'রাখে হরি মারে কে!'- এই নবজাতকের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে; পাথরের চাঁইয়ের কাছে গবাদি পশু চরাতে থাকা একজন রাখাল শিশুটির মৃদু চিৎকার শুনতে পান, তখনই তিনি দ্রুত গ্রামবাসীদের সতর্ক করেন এবং শিশুটির জীবন রক্ষা করেন।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুপুরে, বিজোলিয়া থানা এলাকার সীতাকুণ্ড জঙ্গলে একজন রাখাল তাঁর গবাদি পশু চরাচ্ছিলেন। তিনি কাছে থাকা পাথরের চাঁই থেকে মৃদু চিৎকার শুনতে পান। তখনই কাছে গিয়ে দেখেন পাথরের নীচে একটি নবজাতক শিশু পড়ে রয়েছে। রাখালটি সঙ্গে সঙ্গে কাছের একটি মন্দিরে বসে থাকা গ্রামবাসীদের খবর দেন। গ্রামবাসীরা বিজোলিয়া থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রামবাসীদের সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে।
শিশুটিকে উদ্ধার করলে দেখা গেল যে, তার মুখে একটি পাথর ঢুকিয়ে উপর থেকে ফেভিক্যুইক দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফেভিক্যুইকের প্যিকেটটিও কাছেই পড়ে ছিল। পুলিশ ১০৮ নম্বরের সাহায্যে শিশুটিকে বিজোলিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে ভিলওয়ারা জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়।
শিশুটির চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, তবে গরম পাথরের কারণে তার শরীরের বাম দিক পুড়ে গেছে। ইতিমধ্যে, বিজোলিয়া থানা একটি মামলা দায়ের করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।
No comments:
Post a Comment