জেনারেশন জেড কে দিয়ে দেশে বাংলাদেশ নেপালের মত গণবিক্ষোভ চাইছেন রাহুল

ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫: নিজেদের অক্ষমতা ঘুর পথে প্রকাশ করে দেশের জেনারেশন জেড কে " সংবিধান রক্ষা করুন, গণতন্ত্র রক্ষা করুন এবং ভোট চুরি বন্ধ করুন" বলে আহ্বান জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। শুক্রবার এই ঘোষণা দিয়ে সর্বদা তাদের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

যুব-নেতৃত্বাধীন 'পরিবর্তনের' জন্য রাহুলের আহ্বান, জেনারেশন জেডকে সামনে রেখে, একটি উপসংহার নিয়ে এসেছে যা মিস করা কঠিন এবং এটি নেপালের সাম্প্রতিক অস্থিরতার প্রতিধ্বনি, যেখানে "দুর্নীতির অবসান" আন্দোলন বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়েছিল এবং সরকারকে উৎখাত করার আগে প্রাণহানি করেছিল।

রাহুল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় X-এ একটি পোস্টে বলেন, "দেশের যুবসমাজ, দেশের ছাত্ররা, দেশের জেনারেল জেড সংবিধান রক্ষা করবে, গণতন্ত্র রক্ষা করবে এবং ভোট চুরি বন্ধ করবে। আমি সর্বদা তাদের সাথে আছি। জয় হিন্দ!" 

বিজেপি রাহুলের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বিজেপি সাংসদ এবং মুখপাত্র নিশিকান্ত দুবে বলেছেন, "রাহুল গান্ধী ভারতে গৃহযুদ্ধ শুরু করতে চান। একই গৃহযুদ্ধ ব্যবহার করে রাহুল গান্ধীর দাদা নেহেরু জাতিকে বিভক্ত করেছিলেন... তিনি জাতিকে বিভক্ত করার জন্য সোরোস ফাউন্ডেশনের সাথে কাজ করছেন।" 

রাহুল স্পষ্টভাবে তাদের নাম না করেও, ভারতের সংকট-বিধ্বস্ত প্রতিবেশী - নেপাল, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা - এর সাথে সাদৃশ্যগুলি এড়িয়ে যাওয়া কঠিন। তবে তার স্পষ্ট আহ্বানের একমাত্র কারণ এটিই নয় যে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বিশেষ করে কংগ্রেসের জন্য।

বিজেপি দ্রুত উল্লেখ করেছে যে নেপালে জেনারেশন জেড আন্দোলন, যেখানে বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, দুর্নীতি এবং বংশগত শাসনের বিরুদ্ধে ছিল। বিদ্রূপাত্মকভাবে, কংগ্রেস উভয়ের সাথেই যুক্ত ছিল।

দুর্নীতির অভিযোগ কংগ্রেসের ইউপিএ-১ এবং ইউপিএ-২ শাসনের সমার্থক হলেও, দলটি বংশগত রাজনীতির ইস্যুতে বিজেপির প্রিয় পাঞ্চিং ব্যাগও ছিল। যেখানে গান্ধীরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

নিশিকান্ত দুবে রাহুলের এক্স-এর পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, "জেনারেল জেড পারিবারিক রাজনীতির বিরুদ্ধে। ১. নেহেরু জি, ইন্দিরা জি, রাজীব জি, সোনিয়া জি-র পরে তিনি কেন রাহুল জি-কে সহ্য করবেন?...২. তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে, কেন তিনি আপনাকে তাড়িয়ে দেবেন না? ৩. তারা বাংলাদেশে একটি ইসলামিক জাতি এবং নেপালে একটি হিন্দু জাতি তৈরি করতে চায়, কেন তারা ভারতকে একটি হিন্দু জাতি বানাবে না? দেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হোন, তারা আসছে।"

অন্য একটি পোস্টে, দুবে বলেছেন যে বিজেপি দেশের যুবসমাজের সাথে দাঁড়িয়ে আছে, এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বংশগত মতাদর্শ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রচারণায় সামাজিক পরিবর্তনের জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। "এবার, সমস্ত বংশগত রাজনীতি বেরিয়ে যাবে।"

পরবর্তী সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সাথে কথা বলার সময়, দুবে বলেছিলেন যে ভারতের জেনারেশন জেড ইতিমধ্যেই সেই পরিবর্তন এনেছেন যা তারা দেখতে চেয়েছিলেন।

 "২০১৩ সালে নির্ভয়া মামলার সময়, এক লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমেছিল, কিন্তু বিজেপি সহিংসতা না ছড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। রাহুল গান্ধী নেপাল এবং বাংলাদেশে যা ঘটেছিল তার সাথে নিজেকে যুক্ত করতে চান। উভয় স্থানেই, জেনারেশন জেড স্বজনপ্রীতি এবং 'পরিবারবাদ'-এর বিরুদ্ধে ছিলেন। 'পরিবারবাদ' কোথায়?গান্ধী পরিবারে কয়েক দশক ধরে এটি রয়েছে। যদি তিনি জেনারেশন জেডকে উস্কে দিতে চান, তাহলে আমি রাহুল গান্ধীর সাথে আছি। পুরো কংগ্রেস দলকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে নেপাল এবং বাংলাদেশে, জেনারেশন জেড দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছিলেন।সমস্ত কেলেঙ্কারি কংগ্রেস করেছে। গত ১১ বছরে আমাদের কাছে কোনও কেলেঙ্কারির অভিযোগ নেই।"

বিজেপি সাংসদ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তার আক্রমণ আরও বিস্তৃত করেছেন এবং বলেছেন যে, "বিরোধী দলে তাদের মিত্ররাও পরিবারতান্ত্রিক দল ছিল। রাহুল গান্ধী ভারতে গৃহযুদ্ধ শুরু করতে চান। একই গৃহযুদ্ধ ব্যবহার করে রাহুল গান্ধীর দাদা নেহেরু দেশকে বিভক্ত করেছিলেন। তিনি সোরোস ফাউন্ডেশনের সাথে কাজ করে দেশকে বিভক্ত করছেন। বিজেপি জেনারেল জেডের পাশে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস এবং তার মিত্রদের দেশ থেকে পলাতক দেখা যাবে। "