এই লোকেদের জন্য রসগোল্লা ওষুধের চেয়ে কম নয়, এত উপকারিতা চমকে দেবে - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, September 4, 2025

এই লোকেদের জন্য রসগোল্লা ওষুধের চেয়ে কম নয়, এত উপকারিতা চমকে দেবে


লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫: মিষ্টি খেতে কে না পছন্দ করে! আর রসগোল্লার কথা এলে তো সবাই এর জন্য পাগল। এই যেমন এখন- রসগোল্লার নাম শুনে নিশ্চয়ই জিভে জল চলে এসেছে! আচ্ছা যাই হোক রসগোল্লা হল ছানা দিয়ে তৈরি একটি মিষ্টি, যার স্বাদ অসাধারণ। সাদা গোলাকার রসগোল্লা খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি কিন্তু উপকারীও।


মিষ্টির ভয়ে কেউ কেউ রসগোল্লা খান না, তবে এই মিষ্টি স্বাস্থ্যের দিক থেকে খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। রসগোল্লায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ল্যাকটোঅ্যাসিড এবং কেসিন থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। রসগোল্লায় দুধের মতো সকল গুণ রয়েছে, তাই এটি স্বাস্থ্যের দিক থেকেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


রসগোল্লার এমন কিছু উপকারিতা সম্পর্কে এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হল, যা অবশ্যই অবাক করবে। রসগোল্লার উপকারিতা কী, আসুন জেনে নেওয়া যাক-


জন্ডিসে উপকারী 

রসগোল্লা জন্ডিসে উপকারী বলে বিবেচিত হয়। যারা জন্ডিসে ভুগছেন তাদের খাদ্যতালিকায় রসগোল্লা অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ। সাদা রসগোল্লা জন্ডিসের সমস্যা থেকে খুব দ্রুত মুক্তি দেয়।


প্রস্রাবের সংক্রমণের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়

রসগোল্লা কেবল জন্ডিসেই উপকারী নয়, এটি প্রস্রাব সংক্রান্ত সমস্যাও দূর করে। যদি আপনি প্রস্রাবের সমস্যায় ভুগছেন এবং দ্রুত এ থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় রসগোল্লা অন্তর্ভুক্ত করুন। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা রসগোল্লা খেলে আপনার সমস্যা দূর হবে।


চোখে জ্বালাপোড়া এবং ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি

আপনার চোখে যদি জ্বালাপোড়া এবং ব্যথা হয়, তাহলে রসগোল্লা এর জন্য একটি ঔষধ হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। রসগোল্লা খেলে আপনি চোখে জ্বালাপোড়া এবং ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। যদি আপনিও এই সমস্যার সাথে লড়াই করছেন, তাহলে প্রতিদিন সাদা রসগোল্লা খাওয়া শুরু করতে পারেন।


ক্লান্তি দূর করে

রসগোল্লা খেলে মানুষের ক্লান্তিও দূর হয়। যদি আপনি অতিরিক্ত পরিশ্রম করার পরে ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তাহলে এই পরিস্থিতিতে রসগোল্লা খাওয়া আপনার উপকার করতে পারে। যদি আপনি ক্লান্ত বোধ করেন, তাহলে রসগোল্লা খেলে অল্প সময়ের মধ্যেই ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। তবে, এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিৎ।


হাড় মজবুত করে

রসগোল্লা দুর্বল হাড়ের জন্য ভেষজের মতো কাজ করে। রসগোল্লায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকার কারণে এটি আপনার হাড়কেও শক্তিশালী করে। অতএব, যদি আপনার হাড় দুর্বল হয়, তাহলে প্রতিদিন সীমিত পরিমাণে আপনার খাদ্যতালিকায় রসগোল্লা অন্তর্ভুক্ত করুন।


গর্ভবতী মহিলাদের জন্য আশীর্বাদ

বলা হয়ে থাকে, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের রসগোল্লা খাওয়া উচিত। ডাক্তারদের মতে, দিনে এক বা দুটি রসগোল্লা গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেয় না। এটি শরীরের শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। গর্ভাবস্থায় ভুলবশত ভারী খাবার খেলে তা হজমেও সাহায্য করে। তবে, এই সময় যাই করুক না কেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন। 


এই ব্যক্তিদের রসগোল্লা খাওয়া উচিৎ নয়-

রসগোল্লা খাওয়া কিছু রোগ নিরাময় করলেও, কিছু রোগে এর ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের রসগোল্লা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় না। সর্বদা তাজা রসগোল্লা খান। যদি গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস না থাকে, তাহলে তাদেরও দিনে মাত্র এক থেকে দুটি রসগোল্লা খাওয়া উচিৎ, তাও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই। এছাড়াও কোনও গুরুতর রোগের ক্ষেত্রে, ডাক্তারদের সাথে পরামর্শ করার পরেই রসগোল্লা খাওয়া শুরু করুন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad