নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৮ সেপ্টেম্বর: দুর্ঘটনার কবলে ছোট চার চাকা গাড়ি। বুধবার বিশ্বকর্মা পুজোর সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ছোট গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩৫ নং জাতীয় সড়কের ভোটমিল এলাকায় নয়ানজুলিতে উল্টে যায়। গাড়িটিতে দুই যুবক ও এক যুবতী ছিলেন, সকলেই সামান্য আহত হন। স্থানীয়দের দাবী, গাড়ির গতি এতটাই ছিল যে, চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং নয়ানজুলিতে গাড়িটি উল্টে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, গাড়ির চালক থেকে শুরু করে আরোহী সকলেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দত্তপুকুর থানার পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী মনজিৎ সর্দার বলেন, 'ধূপধুনো দিয়ে দোকান খুলে বসেছি, এমন সময় প্রচণ্ড আওয়াজ। এখানে বেরিয়ে এসে দেখি গাড়িটা উল্টে পড়ে আছে। এরপর অন্যান্যদের ডাকি এবং টেনে হিঁচড়ে তিনজনকে কোনও রকমে বের করি।' তিনি দাবী করেন, সকলেই পুরো নেশাগ্রস্ত। এমনকি চালকও নেশাচ্ছন্ন ছিলেন, ঠিক করে দাঁড়াতেও পারছিলেন না। তিনি জানান, দুর্ঘটনায় গাড়িটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ আলম আলী বলেন, 'চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম হঠাৎ একটা আওয়াজে এসে দেখি তিনজনকে বের করা হচ্ছে।' তিনি জানান, গাড়িতে থাকা সকলেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এবং গাড়ির গতিও বেশি ছিল।
স্থানীয়দের দাবী, পুলিশ যখন জিজ্ঞাসাবাদ করছিল, তখন নেশার ঘোরে তারা দাঁড়াতেও পারছিলেন না। এরপর এই অবস্থাতেই তাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে ক্রেনের সাহায্যে গাড়িটি উদ্ধার করে দত্তপুকুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গাড়ির মালিক এই বিষয়ে জানান, বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে তারা সামান্য নেশা করেছিলেন, যাতে করে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ির মালিক অয়ন মণ্ডল বলেন, 'গাড়িতে আমরা তিনজন ছিলাম। বাড়িতে বিশ্বকর্মা পুজো ছিল। আমরা সবাই লিমিটই নেশা করেছিলাম। আমার বন্ধু গাড়ি চালাচ্ছিল। একটা লরি চেপে দিয়েছিল, ও সামলাতে পারেনি, এখানে নামিয়ে দিয়েছিল।'
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, গাড়িটি যদি নয়ানজুলিতে উল্টে না পড়তো, তাহলে অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। প্রশাসন বারবার চালকদের সর্তক করা সত্ত্বেও কেন চালকরা সচেতন নয়? এই প্রশ্নই উঠছে জনমানসে।
No comments:
Post a Comment