বিনোদন ডেস্ক, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫: পূজা-পাঠ নিয়ে সংবেদনশীল হওয়া খুবই সাধারণ। কিছু মানুষ কখনও প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্য ভাঙতে চায় না, আবার কেউ কেউ ভয়ে সেগুলো অনুসরণ করেন। আবার কেউ কেউ নিজের ইচ্ছানুযায়ী পূজা-পাঠ করেন। মন থেকে করা ভক্তিতে কোনও ভুল নেই, কিন্তু কিছু বিষয় এমন থাকে যা উপেক্ষা করাও ঠিক নয়। হিন্দুধর্মে, পূজার সাথে সম্পর্কিত প্রতিটি বিশ্বাস, কাহিনী এবং ঐতিহ্যের নিজস্ব তাৎপর্য রয়েছে। ভগবানকে প্রতিদিন ভোগ নিবেদন থেকে শুরু করে মন্দিরের দিশা-সহ অনেক এমন নিয়ম রয়েছে যা বর্ণিত আছে বাস্তু শাস্ত্রে। আজ, এই প্রতিবেদনের আলোচ্য বিষয় ভগবানকে নিবেদন করা ভোগ সম্পর্কে। সেইসঙ্গেই জেনে নেব, সেই তিনটি জিনিস কী, যা পূজা-ঘরে থাকা জরুরি।
এই দিশায় রাখুন ভগবানের ভোগ-
সবার আগে জেনে নেব ভগবানকে নিবেদন করা ভোগের দিশা কোনটা। হিন্দুধর্মে, পূজার পাশাপাশি, ভগবানকে প্রতিদিন ভোগ নিবেদন করা অনিবার্য। আপনি যে দেবতাকেই বিশ্বাস করুন না কেন, তাঁর প্রিয় ভোগ নিশ্চয়ই নিবেদন করুন। বলা হয়, এতে করে দ্রুত মনের ইচ্ছা পূরণ হবে। শাস্ত্র অনুসারে, ভোগ সর্বদা দক্ষিণ-পূর্ব দিশায় রাখা উচিৎ। এই দিকটিকে অগ্নি কোণ বলা হয়, যা অগ্নি দেবতার সাথে সম্পর্কিত। এই দিশায় যখন ভোগ নিবেদন করা হয়, তখন এর মহত্ত্ব আরও বেড়ে যায়। এরই সাথে অগ্নিদেবের আশীর্বাদও পাওয়া যায়।
মন্দিরে বা পূজা-ঘরে এই ৩টি জিনিস অবশ্যই রাখুন
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মন্দিরে কিছু জিনিস থাকা অপরিহার্য। শাস্ত্র অনুসারে, মন্দিরে শঙ্খ, ঘণ্টা এবং তুলসী পাতা থাকা অপরিহার্য। এই তিনটি জিনিসই ঘরের শক্তি পরিষ্কার করে। শঙ্খ এবং ঘণ্টার শব্দ বাড়ির প্রতিটি কোণে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চার করে। অন্যদিকে তুলসী দিয়ে পূজা-ঘর স্থান শুদ্ধ হয়। মান্যতা রয়েছে, এটি করলে সর্বদা ভগবান বিষ্ণু এবং দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ বর্ষণ হয়।
বি. দ্র: আমরা দাবী করি না যে, এই নিবন্ধে প্রদত্ত তথ্য সম্পূর্ণ সত্য বা সঠিক। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য, দয়া করে একজন বাস্তুশাস্ত্র বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
No comments:
Post a Comment