হিন্দু ধর্মে কার্তিক মাসের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই পবিত্র মাসটি নারায়ণ, ভগবান বিষ্ণু এবং মা তুলসীর উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত। এই মাসে দান এবং পূজা করা অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়। বলা হয় যে, এই মাসে যারা ভগবান বিষ্ণুর পূজা করেন, কিছু নিয়ম মেনে, তাদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। তবে, এই সময়কালে তাদের প্রার্থনার পূর্ণ সুফল নিশ্চিত করার জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ।
কার্তিক মাসে কী করা উচিত?
কার্তিক মাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং স্নানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করা উচিত এবং বাড়ি, মন্দির এবং আশেপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখা উচিত।
এই মাসে দান করা অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়।
কার্তিক মাসে সন্ধ্যাবেলা তুলসী গাছের কাছে প্রদীপ জ্বালানো উচিত। এছাড়াও, বাড়ির উঠোনে, নদীর তীরে এবং দেবতাদের কাছে প্রদীপ জ্বালানো উচিত। এতে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তির পরিবেশ তৈরি হয়।
কথিত আছে যে এই মাসে ব্রহ্মচর্যের নিয়ম মেনে চলা উচিত।
কার্তিক মাসে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত?
কার্তিক মাসে উড়াল, মুগ ডাল, মসুর ডাল, মটরশুঁটি, ছোলা ইত্যাদি খাওয়া উচিত নয় বলে বিশ্বাস করা হয়।
এই মাসে মাংস, মাছ এবং ডিম খাওয়া উচিত নয়।
কার্তিক মাসে মদ্যপান এবং ধূমপান অশুভ বলে মনে করা হয়।
এই সময়ে পেঁয়াজ এবং রসুনের মতো তামসিক পদার্থ খাওয়া উচিত নয়।
এ মাসে শরীরে তেল লাগানো উচিত নয় বলে বিশ্বাস করা হয়, যদিও নরক চতুর্দশী অর্থাৎ কার্তিক কৃষ্ণ চতুর্দশীতে শরীরে তেল লাগানো যেতে পারে।
এই মাসে বেগুন এবং করলা খাওয়া উচিত নয়।
এ সময়ে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার, ঝগড়া এবং রাগ করা এড়িয়ে চলা উচিত বলে বিশ্বাস করা হয়।
এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং ঐতিহ্যবাহী তথ্যের উপর ভিত্তি করে।
No comments:
Post a Comment