প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০০:০১ : রাতে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ অস্থির হয়ে জেগে ওঠা, বুক ধড়ফড় করা আর এক অজানা ভয় এ অভিজ্ঞতা অনেকেরই। কেউ স্বপ্নে দেখে তাড়া করা হচ্ছে, কেউ বা উঁচু থেকে পড়ে যাচ্ছে কিংবা অন্ধকারে আটকে পড়েছে। এই দুঃস্বপ্ন শুধু ঘুম নয়, মনকেও অস্থির করে তোলে।
জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, এমন স্বপ্ন কেবল মানসিক নয়, অনেক সময় আধ্যাত্মিক সংকেতও হতে পারে। যখন কোনও ব্যক্তির চারপাশে নেতিবাচক শক্তি বেড়ে যায় বা গ্রহের অবস্থান ভারসাম্যহীন হয়, তখন মন অশান্ত হয়ে এমন দুঃস্বপ্ন বারবার দেখা দেয়।
কিন্তু চিন্তা করবেন না ভোপালের প্রখ্যাত জ্যোতিষী ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত হিতেন্দ্র কুমার শর্মা জানিয়েছেন, কয়েকটি সহজ প্রতিকার মেনে চললেই দুঃস্বপ্ন থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং ফিরে আসে শান্তির ঘুম।
শান্তির ঘুমের জন্য জ্যোতিষশাস্ত্রীয় প্রতিকার
১. ঘুমানোর আগে জল দিয়ে পা ধুয়ে নিন
জ্যোতিষ ও বাস্তু অনুসারে, ঘুমানোর আগে পরিষ্কার জল দিয়ে পা ধোয়া অত্যন্ত শুভ। সারাদিনের ধুলো, ক্লান্তি ও নেতিবাচক শক্তি এইভাবে দূর হয়।
 হালকা গরম জলে সামান্য গোলাপ জল বা লবণ মিশিয়ে পা ধুলে মন আরও শান্ত হয় এবং ঘুম গভীর হয়।
২. সকালে স্নানের জলে এক চিমটি লবণ যোগ করুন
লবণ শুধু স্বাদ নয়, এটি নেতিবাচক শক্তি শোষণ করার ক্ষমতা রাখে। সকালে স্নানের সময় এক চিমটি লবণ জলে মিশিয়ে নিন।
 এতে শরীর ও মন দুটোই পরিশুদ্ধ হয়, উদ্বেগ কমে এবং দুঃস্বপ্ন ধীরে ধীরে হ্রাস পায়।
৩. ঘুমানোর আগে হনুমান চালিশা পাঠ করুন
রাতে যদি হঠাৎ ভয় পান বা ঘুমের মধ্যে কেঁপে জেগে ওঠেন, তাহলে ঘুমানোর আগে হনুমান চালিশা পাঠ করুন।
হনুমানজিকে “সংকটমোচন” বলা হয় — অর্থাৎ, সব ভয় ও বিপদ দূরকারী।
যদি পুরো চালিশা পাঠ করা সম্ভব না হয়, কেবল এই পংক্তিটি পাঠ করুন:
“ ভূত পিশাচ নিকট নেহি আবে, মহাবীর জব নাম শুনাবে। " 
(মহাবীরের নাম শুনলেই ভূত-প্রেত কাছে আসে না।)
এই পাঠ ভয় ও দুঃস্বপ্ন থেকে রক্ষা করে।
আরও কিছু ছোট কিন্তু কার্যকর টোটকা
১. ঘুমানোর আগে বালিশের পাশে একটি তুলসী পাতা বা কর্পূর রাখুন।
২. ঘরের আলো খুব উজ্জ্বল নয়—হালকা হলুদ বা উষ্ণ আলো ব্যবহার করুন।
৩. রাতে ঘুমানোর আগে নেতিবাচক খবর বা ভয়ঙ্কর ভিডিও দেখা এড়িয়ে চলুন।
৪. চোখ বন্ধ করে নিজেকে বলুন, “আমি নিরাপদ, সব ঠিক আছে।”
 

 
 
 
 
 
 
No comments:
Post a Comment