লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৬ অক্টোবর ২০২৫: আয়ুর্বেদে অতি পরিচিত নাম গিলয় কেবল। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তবে, বেশ কিছু সময় ধরে ত্বকের যত্নের জগতেও এটি জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। গিলয় যেমন প্লেটলেট বৃদ্ধির জন্য উপকারী, তেমনই মুখে গিলয় লাগানোরও অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে। গিলয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টি-পাইরেটিক বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। এটি কেবল অভ্যন্তরীণভাবে নয়, বাহ্যিকভাবেও ত্বকের অনেক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। মুখে গিলয় লাগানোর সুবিধা কী এবং কীভাবে এটি প্রয়োগ করলে ভালো ফল দেবে, আসুন জেনে নেওয়া যাক-
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য গিলয় এবং কাঁচা দুধের ফেস প্যাক-
মুখে চমক ও উজ্জ্বলতা আনতে একটি দুর্দান্ত উপায় হল দুধের সাথে গিলয় মিশিয়ে ব্যবহার। দুধ ত্বককে পুষ্টি জোগায়, অন্যদিকে গিলয় ময়লা পরিষ্কার করে।
এর জন্য প্রথমে, ১ চা চামচ গিলয় পাউডার নিন। এতে
ধীরে ধীরে কাঁচা দুধ যোগ করে একটি মসৃণ এবং ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই ফেসপ্যাকটি আপনার মুখ এবং ঘাড়ে ভালোভাবে লাগান। এরপর ২০ থেকে ৩০ মিনিট শুকাতে দিন। শুকানোর পরে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন।
ত্বক উজ্জ্বল ও সতেজ করার জন্য গিলয় ও গোলাপ জল-
গোলাপ জল ত্বককে ঠাণ্ডা ও সতেজ করে, অন্যদিকে গিলয় ত্বকের রঙ উন্নত করতে সাহায্য করে।
১ চা চামচ গিলয় পাউডার নিন। একটি সাধারণ ফেসপ্যাক তৈরির জন্য পর্যাপ্ত গোলাপ জল যোগ করুন। এই প্যাকটি মুখ এবং ঘাড়ে লাগান এবং সম্পূর্ণ শুকাতে দিন। সপ্তাহে অন্তত দুবার এই প্যাকটি ব্যবহার করলে ত্বকের রঙ উন্নত হয়।
ব্রণ এবং অ্যালার্জির জন্য গিলয় কাঠের পেস্ট-
আপনার ত্বকে যদি অ্যালার্জি এবং ঘন ঘন ব্রণ হয়, তাহলে গিলয় কাঠ গুঁড়ো করে পেস্ট তৈরি করুন।
গিলয় গাছের নরম কাঠ বা কন্ডের একটি টুকরো নিন। এই পেস্টটি সরাসরি ফুসকুড়ি, অ্যালার্জির জায়গায় বা ব্রণে লাগান। শুকানো পর্যন্ত রেখে দিন। এরপর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
বি.দ্র: ত্বক সংক্রান্ত কিছু ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নিন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

No comments:
Post a Comment