তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদে ঝরল রক্ত, কটাক্ষ বিজেপির - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, October 10, 2025

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদে ঝরল রক্ত, কটাক্ষ বিজেপির


মালদা, ১০ অক্টোবর ২০২৫: পঞ্চায়েতের মিটিং চলাকালীন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ। বিবাদ গড়ায় হাতাহাতিতে, যার জেরে ঝরল রক্ত। গুরুতর আহত হলেন তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। লাঠিসোটা, লোহার রড দিয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী-সহ তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ মালদার মোথাবাড়ি বিধানসভার রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ঘটনার তদন্তে পুলিশ। 


জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের নাম ফেকু মোমিন এবং নাসির আহমেদ। তাঁদের দুজনেরই স্ত্রী রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। বৃহস্পতিবার তাঁরা তৃণমূলের উপপ্রধান সবিতা চৌধুরীর স্বামী গোপাল চৌধুরীর ডাকা পঞ্চায়েতের মিটিংয়ে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, আবাসের টাকা সংক্রান্ত ছিল সেই মিটিং। কিন্তু মিটিং চলাকালীন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হঠাৎ করেই বচসা ও বিবাদ বাধে। 


অভিযোগ, সেই বিবাদের জেরেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান শামসুন নেহারের স্বামী নাসির আহমেদ সাগর দলবল নিয়ে ফেকু মোমিন এবং নাসির আহমেদকে আক্রমণ করে। লাঠিসোটা, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের, দুজনেই গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে রাতেই মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানেই আক্রান্ত দুজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। 


এদিকে রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান শামসুন নেহার তাঁর স্বামীকে নির্দোষ বলে দাবী করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ফেকু মোমিন এবং নাসির আহমেদকে তাঁর স্বামী মারধর করেননি। প্রধানের পাল্টা দাবী, তারা তাঁর স্বামীকে মারধর করে আমবাগানের মধ্যে লুকিয়েছিল। ওই সময় গ্রামবাসীরা তাঁদের চোর সন্দেহে মারধর করেছেন। তবে সঠিক কি ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


এই বিষয়ে জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতির শুভময় বসু বলেন, 'আমাদের কাছে খবর আছে গ্ৰাম্য বিবাদ হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা কী, কে কার পক্ষ নিয়েছে এইসব বিষয়ে দলীয় স্তরে তদন্ত হচ্ছে।'


'ওই এলাকায় বিজেপিকে মারধরের হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু বিরোধীদের মার তো দূরের কথা, ভোট যত এগিয়ে আসবে নিজেদের মধ্যে লড়াই করতে-করতে তৃণমূল দলটা থাকে কিনা সেটাই চিন্তার ব্যাপার', কটাক্ষ বিজেপি দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায়ের।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad