উত্তর ২৪ পরগনা, ২৫ অক্টোবর ২০২৫: দত্তপুকুর ধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার বাড়িতে এলেন রাজ্যের শিশু সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা। শনিবার সকাল দশটা নাগাদ ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছায়। উল্লেখ্য, দিন সাতেক আগে মূক এবং বধির এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দত্তপুকুর থানা এলাকায়। সেই ঘটনায় এবার নড়েচড়ে বসল পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা দপ্তর।
এদিন নির্যাতিতার বাড়িতে আসেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা দপ্তরের চেয়ারপারসন তুলিকা দাস। তিনজনের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কথা বলেন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে। সেইসঙ্গেই নাবালিকা ও তার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি ধর্ষণ কাণ্ডের অগ্রগতি এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েও এদিন চেয়ারপারসন তুলিকা দাস কথা বলেছেন দত্তপুকুর থানার পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গেও।
এদিন নির্যাতিতার পরিবার এবং পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পর রাজ্য শিশু সুরক্ষা দপ্তরের চেয়ারপারসন তুলিকা দাস বলেন, 'পুলিশের ভূমিকা ঠিক ছিল। পুলিশের উদ্যোগেই দোষীকে খুঁজে বের করা গেছে।' তাঁর কথায়, ঘটনার পর স্থানীয় এবং পুলিশের উদ্যোগেই নির্যাতিতাকে উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, 'ধৃতের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হোক, এটাই চাইব। শিশুদের সুরক্ষা আরও বৃদ্ধি করতে হবে বলেই এদিন জানিয়েছেন তিনি।
তাঁর বক্তব্য, 'নিরাপত্তার দিকটা জোরদার করতে হবে। আর শুধু নাবালিকা না নাবালকরাও নিরাপদ নয়। যে কোনও শিশু যতটাই সুরক্ষিত, ততটাই অসুরক্ষিত; তা বাড়ির ভেতরেই হোক বা বাইরে। এটা ধরেই নিরাপত্তার বলয় ঠিক করতে হবে।'
উল্লেখ্য, মূক এবং বধির ওই নাবালিকা গত রবিবার বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। এরপর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষে দত্তপুকুরের কোটরা এলাকায় একটি বন্ধ ইট ভাটার ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সাইফুল আলমকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পেরেছিল, বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরেই অভিযুক্ত সাইফুল সাইকেলে করে ওই নাবালিকাকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে সাইফুলকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।

No comments:
Post a Comment