Sunday, October 26, 2025

তামার পাত্রে রাখা জল পান করলে চুল হয় মজবুত ও ঘন! পুষ্টিবিদের জানানো গোপন রহস্য



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:০০:০১ : আজকাল, অল্প বয়সে চুল পাকা এখন আর কোনও বড় ব্যাপার নয়। একসময় চুল পাকাকে বয়সের লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হলেও, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী মানুষ এখন পাকা চুলের সমস্যায় ভুগছেন। কারণগুলি স্পষ্ট: খারাপ খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব এবং ক্রমবর্ধমান দূষণ। এই সমস্তই আমাদের শরীরের পাশাপাশি আমাদের চুলের উপরও প্রভাব ফেলে।  ইতিমধ্যে, একটি ঘরোয়া প্রতিকার সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে মনোযোগ আকর্ষণ করছে: তামার পাত্রে রাখা জল পান করা। বলা হয় এটি ধূসর চুল কালো করতে সাহায্য করে। বিখ্যাত পুষ্টিবিদ লিমা মহাজন একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে ব্যাখ্যা করেছেন যে তামার জল কেবল চুলের জন্য নয়, পুরো শরীরের জন্য উপকারী। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে তামার জল ধূসর চুল কমাতে সাহায্য করতে পারে, সেই সাথে চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে এমন আরও কিছু সহজ টিপস।

পুষ্টিবিদ লিমা মহাজনের মতে, তামার পাত্রের জল পান করলে শরীরে তামার ঘাটতি পূরণ হয়। তামা একটি অপরিহার্য খনিজ যা মেলানিন তৈরিতে সাহায্য করে। মেলানিন হল একই উপাদান যা চুলকে তার প্রাকৃতিক কালো রঙ দেয়। শরীরে মেলানিন উৎপাদন কমে গেলে চুল সাদা বা ধূসর হয়ে যায়।

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তামার পাত্রের জল পান করলে শরীরে তামার মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা মেলানিন উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং ধীরে ধীরে ধূসর চুলের বৃদ্ধি কমাতে পারে। এই পদ্ধতিটি জাদুকরী নয়, তবে দীর্ঘ সময় ধরে অনুসরণ করলে এর প্রভাব স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।

এর জন্য, রাতে তামার পাত্রে (যেমন জগ বা লটা) এক গ্লাস জল ভরে নিন। সকালে খালি পেটে একই জল পান করুন। মরিচা বা ময়লা জমা রোধ করতে প্রতিদিন তামার পাত্র পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। পুষ্টিবিদ লিমা মহাজন বলেন যে প্রতিদিন সকালে এক চা চামচ কালো তিল খেলে মেলানিনের মাত্রা আরও দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। কালো তিল প্রাকৃতিক চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে।

১. চুল পড়া বা পাতলা হয়ে যাওয়া
লিমা মহাজন মেথি বীজ এবং আমলকির প্যাক লাগানোর পরামর্শ দেন। এক মুঠো ভেজানো মেথি বীজ তাজা আমলকির পাল্পের সাথে পিষে চুলে লাগান। সপ্তাহে একবার এটি করুন। এটি মাথার ত্বকে রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়ায় এবং শিকড়কে শক্তিশালী করে।

২. চুলের বৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য
জলের সাথে রোজমেরি তেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান এবং রাতারাতি রেখে দিন। এটি মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং নতুন চুলের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এটি ব্যবহার করা যথেষ্ট।

৩. চুল ভাঙা রোধ করতে,
আপনার খাদ্যতালিকায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যদি আমিষ খাবার খান, তাহলে মাছ একটি দুর্দান্ত বিকল্প। অন্যথায়, আপনি ওমেগা-৩ ক্যাপসুলও খেতে পারেন। এটি চুলকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করে।

৪. কোঁকড়ানো চুলের জন্য,
আপনার কন্ডিশনারের সাথে এক বা দুটি হেয়ার সিরাম যোগ করুন এবং আলতো করে চুলে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুল মসৃণ এবং সিল্কি হয়ে যাবে।

লিমা মহাজন বলেন যে চুলের যত্নের জন্য সবসময় ব্যয়বহুল পণ্য বা চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। আপনি যদি প্রতিদিন সঠিক পথে ছোট ছোট পদক্ষেপ নেন - যেমন স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো এবং প্রাকৃতিক প্রতিকার গ্রহণ - তাহলে আপনি আপনার চুলে দৃশ্যমান পার্থক্য দেখতে পাবেন। তামার পাত্র থেকে জল পান করা কোনও জাদুকরী সমাধান নয়, তবে এটি ধীরে ধীরে শরীরকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করে, যা ধূসর চুলের সমস্যা কমাতে পারে।

No comments:

Post a Comment