ঘুমের অভাব মস্তিষ্ককে করতে পারে বৃদ্ধ, বাড়াতে পারে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি! গবেষণায় প্রকাশ - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, October 3, 2025

ঘুমের অভাব মস্তিষ্ককে করতে পারে বৃদ্ধ, বাড়াতে পারে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি! গবেষণায় প্রকাশ


লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৩ অক্টোবর ২০২৫: বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের মস্তিষ্কও দুর্বল হতে শুরু করে। বার্ধক্যের ফলে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা প্রভাবিত হয়। এটি বার্ধক্যের একটি স্বাভাবিক অংশ বলে মনে করা হয়, তবে খারাপ জীবনযাত্রার অভ্যাস অকাল বার্ধক্যের কারণ হতে পারে।


বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন যে, ঘুমের অভাব দীর্ঘমেয়াদে ডিমেনশিয়ার মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাহলে, আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে আমাদের মস্তিষ্ক অকাল বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছে-


ঘুমের অভাব সবচেয়ে বড় কারণ-

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঘুমের অভাব অকাল মস্তিষ্কের বার্ধক্যের একটি প্রধান কারণ। ঘুম মস্তিষ্ককে নিজেকে রক্ষা এবং মেরামত করার সুযোগ প্রদান করে। পর্যাপ্ত এবং ভালো মাত্রায় ঘুমের অভাব শরীরে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ বৃদ্ধি করে, যা সরাসরি মস্তিষ্কের কোষগুলিকে, অর্থাৎ নিউরনগুলিকে প্রভাবিত করে। দীর্ঘমেয়াদী দুর্বল ঘুম মস্তিষ্কের কোষগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং মস্তিষ্কের বার্ধক্যকে ত্বরান্বিত করে।


গবেষণায় যা উঠে এসেছে-

মস্তিষ্কের বার্ধক্য সংক্রান্ত একটি গবেষণায়, ২৭,০০০ জনেরও বেশি মানুষের মস্তিষ্ক পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং মস্তিষ্কের স্ক্যানের মাধ্যমে তাঁদের মস্তিষ্কের বয়স অনুমান করা হয়েছিল। এই গবেষণায়, এমন‌ লোক যাঁরা না পর্যাপ্ত ঘুমাননি বা ভালো মাত্রায় ঘুমাননি তাঁদের মস্তিষ্ক তাঁদের প্রকৃত বয়সের চেয়ে প্রায় ০.৬ বছর বড় পাওয়া গেছে। এদিকে, যারা কখনও পর্যাপ্ত ঘুমাননি তাঁদের মস্তিষ্ক তাঁদের প্রকৃত বয়সের চেয়ে প্রায় ১ বছর বড় পাওয়া গেছে। গবেষকরা একটি ঘুমের স্কোরও তৈরি করেছেন। এই স্কোরের প্রতিটি পয়েন্ট হ্রাস মস্তিষ্কের বয়সকে প্রায় অর্ধেক বছর বাড়িয়ে দেয়।


বিশেষজ্ঞের পরামর্শ-

এই গবেষণা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, ভালো এবং নিয়মিত ঘুম মস্তিষ্ককে তরুণ রাখার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। ঘুমের সমস্যা উপেক্ষা করলে ভবিষ্যতে গুরুতর মানসিক অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়তে পারে। এছাড়াও, বিশেষজ্ঞরা ভালো ঘুম নিশ্চিত করার জন্য প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। এছাড়াও, ঘুমানোর কমপক্ষে এক ঘন্টা আগে মোবাইল ফোন, টিভি এবং ল্যাপটপের ব্যবহার কমিয়ে দিন এবং রাতে ক্যাফেইনযুক্ত কিছু খাওয়া বা পান করা এড়িয়ে চলুন। পাশাপাশি, দিনের ক্লান্তি এবং চাপ কমাতে হালকা ব্যায়াম, যোগব্যায়াম বা ধ্যান অনুশীলন করুন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad