ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৯ অক্টোবর ২০২৫: ভারত ও চীনের মধ্যে ২৩তম কর্পস কমান্ডার পর্যায়ের আলোচনা শেষ হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধের অবশিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আলোচনাটি ইতিবাচক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং উভয় পক্ষ সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে।
উভয় দেশের প্রতিনিধিরা পূর্ব লাদাখ সহ বিতর্কিত এলাকার অবশিষ্ট বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। আলোচনার সময়, পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা জোরদার করা নিয়ে সহমত হয় উভয় পক্ষ। এই বৈঠককে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের আরেকটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই সপ্তাহের শুরুতে, ২০২০ সালের পর প্রথম ভারত ও চীনের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা পুনরায় চালু হয়েছে।
২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের উল্লেখযোগ্যভাবে অবনতি হয়। গত বছরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মধ্যে দুটি বৈঠকে উত্তেজনা অনেকটাই হ্রাস হয়েছে। সীমান্ত বিরোধের স্থায়ী সমাধানের জন্য গঠিত বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনাও শুরু হয়েছে।
ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের মানস সরোবর ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছে চীন। ভারতও চীনা নাগরিকদের ভিসা প্রদান পুনরায় শুরু করেছে। তবে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর কিছু এলাকায় সৈন্য মোতায়েনের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে এখনও কিছু মতভেদ রয়েছে। প্রায় এক বছর পর সামরিক কমান্ডার পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে ভারতীয় পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন লেহে অবস্থিত ১৪তম কর্পসের কমান্ডার। অন্যদিকে চীনা পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন দক্ষিণ জিনজিয়াং সামরিক জেলার কমান্ডার। উভয় পক্ষ ভবিষ্যতে এই ধরণের আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রণালয় আগেই বেশ কয়েকবার স্পষ্ট করে বলেছে যে, উভয় দেশের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা স্বার্থের কথা মাথায় রেখে সীমান্ত বিরোধের সম্পূর্ণ সমাধান করা হবে।
 

 
 
 
 
 
 
No comments:
Post a Comment