ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৪ অক্টোবর ২০২৫: কোচিং সেন্টারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। এতে দুইজনের মৃত্যু এবং ছয়জন আহত হন। শনিবার দুপুরে উত্তর প্রদেশের ফারুখাবাদে এই ঘটনা ঘটেছে। এখানকার কাদরি গেট থানা এলাকার সতনপুর মান্ডির কাছে অবস্থিত একটি কোচিং সেন্টারে এই বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে কোচিং সেন্টারের ভবনের একটি অংশ ভেঙে পড়ে এবং ধ্বংসাবশেষ ২০ থেকে ৩০ মিটার দূরে ছড়িয়ে পড়ে। আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি ও যানবাহনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনাস্থলে ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা পৌঁছেছেন। বিস্ফোরণের কারণ এখনও (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) জানা যায়নি। ফরেনসিক দলও ঘটনার তদন্ত করছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন। তিনি ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলে বর্ণনা করেছেন এবং আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সতনপুর মান্ডি রোডের কাটিয়ার কোল্ড স্টোরেজের কাছে এই কোচিং সেন্টারটি অবস্থিত। শনিবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে এর একটি শ্রেণীকক্ষের ভেতরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে, যার ফলে এক যুবকের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। ২৬ বছর বয়সী আকাশ সাক্সেনা ঘটনাস্থলেই মারা যান। কোচিং সেন্টারে পড়া এক ছাত্রী এবং আরও পাঁচজন ছাত্র গুরুতর আহত হন। লোকজন অন্য আহতদের দ্রুত ডাঃ রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে ২৫ বছর বয়সী আকাশ কাশ্যপ এবং ১১ বছর বয়সী রিদম যাদবের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের রেফার করা হয়।
কানপুরে নেওয়ার সময় কমলগঞ্জের কাছে আকাশ কাশ্যপের মৃত্যু হয়। নিনাউয়া গ্রামের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র অভয়, সেন্ট্রাল জেলের কাছের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আংশিকা গুপ্ত, গুঞ্জন বিহার কলোনির পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র পীযূষ যাদব এবং তার ভাই তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র নিখিল যাদব লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশুতোষ কুমার দ্বিবেদী, পুলিশ সুপার আরতি সিং লোহিয়া হাসপাতালে পৌঁছে আহত শিশুদের খোঁজখবর নেন। তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। সিটি ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় বানসাল, সিও সিটি ঐশ্বর্য উপাধ্যায় বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থলে বারুদের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। পাশাপাশি সেপটিক ট্যাঙ্ক ফাটার আশঙ্কাও করা হয়। বিস্ফোরণের কারণ তদন্ত করা হচ্ছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশুতোষ কুমার দ্বিবেদী বলেছেন যে, সেপটিক ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ ঘটেছে। আসল কারণ খুঁজে বের করার জন্য কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment