ভারতের বিরুদ্ধে নিজ জমি ব্যবহার করছেন ইউনূস! ঢাকায় আইএসআই ঘাঁটি স্থাপন, কোন ফন্দি আঁটছে মুনির?

ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৯ অক্টোবর ২০২৫: বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হয়েছেন মহম্মদ ইউনূস। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নিজ জমির ব্যবহার ভারতের বিরুদ্ধে করতে ব্যস্ত। এই কারণেই তিনি বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন করতে চান না, তার জনগণের কণ্ঠস্বর দমন করতে চান না। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সহযোগিতাও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই মধ্যে, পাকিস্তান নীরবে ঢাকায় তার হাইকমিশনের মধ্যে একটি বিশেষ ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) সেল প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রতিবেদন এবিপি হিন্দির। 

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা সম্পর্ক যেভাবে গভীর হচ্ছে, সেটা গোয়েন্দা আধিকারিকরা উদ্বেগজনক সংকেত বলে মনে করছেন। বাংলাদেশে আইএসআই সেলের প্রতিষ্ঠা

পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জার চার দিনের ঢাকা সফরের পর হয়েছে। শামশাদ মির্জা তার সফরকালে মহম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশের সেনা, নৌসেনা এবং বিমান বাহিনীর প্রধানদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।

সিএনএন-নিউজ১৮-এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানি জেনারেল শামশাদ মির্জা আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে ঢাকায় পৌঁছান, যার মধ্যে আইএসআই-এর ঊর্ধ্বতন আধিকারিকের পাশাপাশি পাকিস্তানি বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রতিনিধিরাও ছিলেন। পাকিস্তানি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং সামরিক গোয়েন্দা মহাপরিচালক (ডিজিএফআই)- এর শীর্ষ আধিকারিকদের সাথে বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছে বলে জানা গেছে।

প্রতিবেদনে দাবী করা হয়েছে যে, দুই দেশ বঙ্গোপসাগর এবং ভারতের পূর্ব সীমান্ত সংলগ্ন আকাশসীমা পর্যবেক্ষণের জন্য যৌথ গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক স্থাপনে সম্মত হয়েছে। বলা হচ্ছে এই চুক্তির অংশ হিসেবে, বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ঢাকা-স্থিত তার হাইকমিশনে বেশ কয়েকজন গোয়েন্দা কর্মী মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছে। বিনিময়ে, পাকিস্তান বাংলাদেশকে যৌথ সামরিক মহড়া সহ ব্যাপক সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে।

পাকিস্তানের জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান এবং ফাতেহ-সিরিজের রকেট সিস্টেম কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ঢাকা। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে, একটি উচ্চ পর্যায়ের বাংলাদেশি সামরিক প্রতিনিধিমণ্ডল রাওয়ালপিন্ডি সফর করবে, যেখানে জেনারেল মির্জার সফরের সময় আলোচিত বেশ কয়েকটি চুক্তি স্মারক (এমওইউ) এবং প্রতিরক্ষা ক্রয় চুক্তিকে পরিণত রূপ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশের রাজধানীর মধ্যে আইএসআই সেল তৈরি ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ। বিশ্লেষকরা বলছেন যে, এতে করে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে হওয়া গোয়েন্দা চুক্তি বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে রণনৈতিকভাবে ইসলামাবাদের অবস্থানকে মজবুতি প্রদান করতে পারে, যা তাদের সামুদ্রিক ও আকাশ নজরদারি ডেটা অ্যাক্সেস দিতে পারে।