প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২১:০৬:০১ : পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এই হামলায় সাত পুলিশ সদস্য নিহত হয় এবং ছয়জন সন্ত্রাসীও নিকেশ হয়। দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের সীমান্তবর্তী ডেরা ইসমাইল খান জেলায় এই হামলা চালানো হয়।
শুক্রবার রাতে ডেরা ইসমাইল খান শহরের উপকণ্ঠে রাত্তা কুলাচি এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশের মতে, হামলাকারীরা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে এবং একজন আত্মঘাতী বোমারু বিস্ফোরক ভর্তি একটি ট্রাক প্রধান ফটকে ধাক্কা দেয়। গেটে আঘাত করার পর ট্রাকটি বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের পর সন্ত্রাসীরা কম্পাউন্ডে প্রবেশের চেষ্টা করে।
ডেরা ইসমাইল খানের পুলিশ প্রধান সাজ্জাদ আহমেদ অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন যে, সেই সময় কম্পাউন্ডে প্রায় ২০০ জন রিক্রুট এবং তাদের প্রশিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। হামলার পর, পুলিশ এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে ছয় ঘন্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়, যার ফলে সাত পুলিশ সদস্য নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়।
পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, সন্ত্রাসীরা ভারী অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়েছে। গেটে একটি ট্রাক বিস্ফোরণে দেয়ালের একটি অংশ ধসে পড়ে, একজন পুলিশ সদস্য নিহত হন। এর কিছুক্ষণ পরেই, পুলিশের ছদ্মবেশে সন্ত্রাসীরা কম্পাউন্ডে প্রবেশ করে এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়।
তারা গ্রেনেডও নিক্ষেপ করে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে প্রচণ্ড গুলি বিনিময় করে। এরপর পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী কম্পাউন্ডটি ঘিরে ফেলে, ছয়জন সন্ত্রাসীকে নিকেশ করে এবং আত্মঘাতী ভেস্ট, বিস্ফোরক, অস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি শহীদ পুলিশ সদস্যদের সাহসিকতা এবং আত্মত্যাগের প্রশংসা করেছেন। নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) প্রথমে হামলার দায় স্বীকার করেছিল, কিন্তু পরে তা অস্বীকার করে দ্বিতীয় বিবৃতি জারি করে।

No comments:
Post a Comment