প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৮ অক্টোবর : দুজনেই টলিপাড়ার আলোচিত মুখ। দু’জনেই প্রতিভাবান, দু’জনেই নিজের মতো করে বেঁচে থাকা মানুষ। একজন প্রতিবাদী, অন্যজনের প্রতিবাদ হয়তো অনেকটা নীরব, তবু শক্তিশালী। কথা হচ্ছে সোহিনী সরকার এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্যের। ওটিটি হোক বা বড় পর্দা এই জুটি বহুবার মুগ্ধ করেছে দর্শককে। ব্যোমকেশের গম্ভীর অনির্বাণের পাশে সত্যবতী সোহিনীর বুদ্ধিদীপ্ত উপস্থিতি দর্শক মনে রেখেছে আজও।
২০১৯ সালের দিকে শুরু হয়েছিল টলিপাড়ায় এক নরম গুঞ্জন দু’জনের সম্পর্ক নাকি শুধু পর্দায় নয়, বাস্তবেও। তবে কেউই মুখ খোলেননি সে সময়। অনির্বাণ বরাবরই বলেছেন, “সোহিনী আমার খুব ভালো বন্ধু।” আর সোহিনীও চুপ থেকেছেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে যখন সবকিছুই নিজের মুখ খোলে, তখন হয়তো সম্পর্কও আর লুকিয়ে থাকে না।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রথমবার সোহিনী নিজেই ভাঙলেন নীরবতা। স্পষ্ট বললেন, ‘ঘনিষ্ঠ নয়, একটা সময় আমাদের সম্পর্কও ছিল।’ তাঁর এই স্বীকারোক্তি যেন মুহূর্তে বদলে দিল বহু পুরনো জল্পনার মানচিত্র।
এই মুহূর্তে অবশ্য অন্য এক বিতর্কের কেন্দ্রে অনির্বাণ। ফেডারেশন ও পরিচালকদের দ্বন্দ্বের জেরে নাকি হাতে নেই নতুন কোনও কাজ। সহকর্মী হিসেবে, প্রাক্তন হিসেবে নয়একজন মানুষ হিসেবে সোহিনী বলেন, ‘এটা হওয়া উচিত ছিল না। কাজের মানুষ কেন কাজ থেকে বাদ পড়বে? এটা অন্যায়।’ তারপরই খানিক থেমে বলেন, ‘আমার অনেক কিছু বলা উচিত, আবার অনেক কিছু বলা যাবে না। প্রত্যেকে নিজেদের মতো করে লড়াই করছে। আমি আমার মতো লড়ছি, নিজের সমস্যাগুলোই সামলাতে পারছি না। ও ওর মতো লড়ছে টেকনিশিয়ান দাদা-দিদিরাও আমার খুব কাছের। আমরা সবাই চাই ইন্ডাস্ট্রি উন্নতি করুক, এটাই সোজা কথা।’
অনির্বাণের জীবনে এখন ছিলেন মাইম শিল্পী মধুরিমা গোস্বামী যাঁর সঙ্গে তিনি ২০২০ সালের নভেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিছু বছর আগে তাঁদের দাম্পত্যে ফাটলের গুঞ্জনও ছড়িয়েছিল। অন্যদিকে, সোহিনীর জীবনের অধ্যায়ও একেবারে সরল ছিল না। অভিনেতা রণজয় বিষ্ণুর সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভেঙেছিল ২০২৩ সালের শুরুতে। লিভ ইনও করতেন। সে সম্পর্ক ভেঙে যায়। তারপর সোহিনীর জীবনে আসেন সঙ্গীতশিল্পী শোভন গঙ্গোপাধ্যায়। ভালোবাসার নতুন আলোয় দু’জন ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই বিয়ে করেন। আজ তাঁদের দাম্পত্য বেশ স্থির, সুন্দর। হাসিতে, গানে, গল্পে ভরে উঠেছে আজকের ঘর।
.jpeg)
No comments:
Post a Comment