বাবার মৃ-ত্যুসংবাদ উপেক্ষা করেই সেদিন হাসি মুখে গাইলেন নব্বই মিনিট! হারিয়েছেন সব কাছের মানুষদের, তবু গানই তাঁর বেঁচে থাকার ভরসা! - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, October 24, 2025

বাবার মৃ-ত্যুসংবাদ উপেক্ষা করেই সেদিন হাসি মুখে গাইলেন নব্বই মিনিট! হারিয়েছেন সব কাছের মানুষদের, তবু গানই তাঁর বেঁচে থাকার ভরসা!



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৪ অক্টোবর : বর্তমানে বাংলা সংগীত জগতের এক বিশেষ নাম সোমলতা আচার্য। তাঁর গানের সুরে মিশে থাকে অনুভূতির গভীরতা আর এক অনন্য শক্তি। ‘মায়াবন বিহারিনী’র মতো রবীন্দ্র সংগীত হোক বা তাঁর নিজের সৃষ্টি— প্রতিটি গানে তিনি যেন এক নতুন জগৎ তৈরি করেন। আজ তিনি তরুণ প্রজন্মের কাছে যেমন প্রেরণার প্রতীক, তেমনই অনেকে তাঁকে বাংলা সংগীতের ‘রকস্টার ওম্যান’ হিসেবেও চেনেন। তবে এই উজ্জ্বল আলোর পেছনে মানুষটার অতীতে রয়েছে গভীর ক্ষত! সেই ক্ষত স্থানের চিকিৎসা তিনি নিজেই করেছেন, তবে আড়ালে। বাইরের কাউকে বুঝতে দেননি যে ভেতরে কি চলছে!


সোমলতার জীবনের সবচেয়ে কঠিন অধ্যায় শুরু হয় ২০১৮ সালের এপ্রিলে। একটি বড় কনসার্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। ট্রেনে ওঠার পথে সামনে পড়ে একটি হাসপাতাল— সেখানে মৃ’ত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তাঁর বাবা। তবু পেশার টানে পেছনে ফিরে তাকাতে পারেননি। তবে, মনের মধ্যে একটা আওয়াজ শুনতে পেয়েছি যে, হয়তো এটাই শেষবার যখন বাবাকে এত কাছ থেকে পাচ্ছেন তিনি। ঠিক হলোও তাই, ট্রেন থেকে নামতেই একটা ফোন। বলা হলো বাবা না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন।



অন্য কেউ হলে নিশ্চয়ই সবকিছু ফেলে রেখে ফিরে আসত, শেষ একবার বাবাকে দেখার জন্য। কিন্তু সোমলতা সেটা করেননি। তাঁর কথায়, “আমরা এমন এক পেশায় আছি যেখানে ছুটি নেওয়া মানে দায়িত্ব এড়ানো। আমি জানতাম, যদি ফিরে যাই, বাবা খুশি হতেন না। নব্বই মিনিটের শো ছিল, সকাল থেকে প্রস্তুতি এরপর স্টেজে উঠলাম মুখে একটা চওড়া হাসি নব্বই মিনিটের বেশি বৈ কম সময় গান করিনি।” কিন্তু জীবনের আঘাত এখানেই শেষ হয়নি। ২০২০ সালে, যখন গোটা বিশ্ব লকডাউনের আতঙ্কে জড়িয়ে আছে, তখনই শুরু হয় তাঁর জীবনের আরেক লড়াই।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad