বর্ষার পর তুলসীকে কীভাবে রাখবেন সুস্থ ও সতেজ! অবিলম্বে অনুসরণ করুন এই সহজ ও কার্যকর উপায় - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, October 17, 2025

বর্ষার পর তুলসীকে কীভাবে রাখবেন সুস্থ ও সতেজ! অবিলম্বে অনুসরণ করুন এই সহজ ও কার্যকর উপায়



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০০:০১ : কৃষি বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় যাদবের মতে, তুলসী একটি ঔষধি উদ্ভিদ। কিছু চাষী এটি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেন, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ হিন্দুধর্মের অনুশীলন ও পূজা-অর্চনার জন্য ঘরে রাখেন। তূলসীর প্রতিটি অংশের ঔষধি ব্যবহার রয়েছে এবং এটি অনেক আয়ুর্বেদিক ওষুধে ব্যবহৃত হয়।

সঞ্জয় যাদব জানান, বর্ষার সময় তুলসীর পাতায় ডাউন মিল্ডিউ রোগের প্রকোপ বেশি হয়। এতে পাতায় বাদামি দাগ দেখা দেয় এবং ধীরে ধীরে পুরো উদ্ভিদ শুকিয়ে যায়। সময়মতো প্রতিকার না নিলে সম্পূর্ণ উদ্ভিদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

শীতকালে তূলসীতে পাউডারি মিল্ডিউ রোগ দেখা দেয়। এতে পাতায় সাদা পাউডারের মতো স্তর জমে, পাতাগুলো হলুদ হয়ে ঝলসে যায়। এই রোগ প্রতিরোধে কপার সালফেট বা কপার অক্সিক্লোরাইড স্প্রে কার্যকর।

অতিরিক্ত জল জমে থাকলে তূলসীর মূলে রুট রট রোগ হতে পারে। এতে মূল নষ্ট হয়ে উদ্ভিদ মারা যায়। এই রোগ থেকে রক্ষা পেতে ব্লু কপার বা কপার অক্সিক্লোরাইডের ব্যবহার সুপারিশ করা হয়।

ফিউজেরিয়াম উইল্টে পুরো উদ্ভিদ শুকিয়ে যায়। প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলে ব্লু কপার বা সুডোমোনাস ট্রাইকোডার্মা দিয়ে মাটি দমন (ড্রেনচিং) করা যেতে পারে।
নার্সারিতে সিডলিং ব্লাস্ট রোগ উদ্ভিদকে প্রভাবিত করে, এবং ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইটে পাতায় কালো দাগ পড়ে। এই রোগ প্রতিরোধেও কপার ভিত্তিক ফাঙ্গিসাইড কার্যকর।

তূলসীতে কিছু কীট যেমন আফিড, থ্রিপস এবং মাইটস ক্ষতি করে। এগুলোর নিয়ন্ত্রণে ইমিডাক্লোপ্রিড বা সাধারণ কীটনাশক ব্যবহার করা যায়।

সঞ্জয় যাদব জানান, তূলসী একটি সংবেদনশীল উদ্ভিদ। নিয়মিত নজরদারি এবং সময়মতো রোগ-নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য। জৈব উপায়ের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ রাসায়নিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করে চাষীরা তূলসীকে সুস্থ রাখতে এবং ভালো ফলন নিশ্চিত করতে পারেন।

পার্থক্যপূর্ণ টিপস:

কার্তিক মাসে প্রতিদিন পূজার সঙ্গে পাতাগুলো সতেজ রাখুন।

অতিরিক্ত জল এড়িয়ে চলুন।

নিয়মিত কীট ও রোগ পরীক্ষা করুন।

প্রয়োজনে কম খারাপ রাসায়নিক বা জৈব ফাঙ্গিসাইড ব্যবহার করুন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad