Thursday, October 9, 2025

চোটে পড়েছে নীল দাগ? ভুলেও করবেন না মালিশ, জেনে নিন ঘরোয়া সঠিক উপায়



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০০:০১ : ছোটখাটো আঘাত, ধাক্কা, অথবা দুর্ঘটনাক্রমে পড়ে যাওয়া—এগুলো দৈনন্দিন জীবনের অংশ। কিন্তু কখনও কখনও, এই ছোটখাটো ঘটনার পরে শরীরে যে ক্ষত বা নীল দাগ দেখা দেয় তা বিরক্তিকর হতে পারে। আপাতদৃষ্টিতে ছোটখাটো হলেও, এগুলি ব্যথা এবং ফোলা উভয়ই সৃষ্টি করতে পারে। আমরা যখন নিজেদের আঘাত করি, তখন আক্রান্ত স্থানের নীচের ছোট রক্তনালীগুলি ফেটে যায়, যার ফলে রক্ত ​​জমাট বাঁধে। এই জমাট বাঁধা রক্ত ​​ত্বককে নীল বা বেগুনি করে তোলে। এই ক্ষতগুলি সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যে নিজে থেকেই অদৃশ্য হয়ে যায়, তবে কখনও কখনও দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে, ব্যথা এবং ফোলাভাব বৃদ্ধি পায়, যা অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

ক্ষতের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার

যদি আপনার সাথে এটি প্রায়শই ঘটে, তাহলে আতঙ্কিত হবেন না। আজ, আমরা শিখব আঘাতের পরে যদি আপনার ক্ষত হয় তবে প্রথমে কী করবেন এবং কী ঘরোয়া প্রতিকার এই ক্ষতগুলি দ্রুত অদৃশ্য হতে সাহায্য করতে পারে।

১. আঘাতের পরপরই আইস প্যাক ব্যবহার করুন।

আঘাতের পরপরই বরফ প্রয়োগ করলে ক্ষত উল্লেখযোগ্যভাবে প্রতিরোধ করা যায়। বরফ প্রয়োগ করলে ওই এলাকার শিরাগুলি সংকুচিত হয়, রক্ত ​​প্রবাহ বন্ধ হয় এবং রক্ত ​​জমাট বাঁধার গতি কমে যায়। এটি ফোলাভাব কমায় এবং ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করে।

যদি আপনি চান, তাহলে একটি পরিষ্কার কাপড়ে একটি বরফের প্যাক মুড়িয়ে আক্রান্ত স্থানে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য রাখুন। ত্বকে সরাসরি বরফ না লাগাতে সতর্ক থাকুন, কারণ এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। প্রথম ৪৮ ঘন্টা ধরে দিনে ৩-৪ বার বরফের প্যাক লাগালে উল্লেখযোগ্য উপশম হবে।

২. দুই দিন পর গরম জলের কম্প্রেস লাগান।

দুই দিন পর, আপনি ঠান্ডা কম্প্রেসের পরিবর্তে উষ্ণ জলের কম্প্রেস ব্যবহার শুরু করতে পারেন। এটি স্বাভাবিক রক্ত ​​প্রবাহ পুনরুদ্ধার করে এবং জমে থাকা রক্ত ​​ধীরে ধীরে গলে যায়। এর ফলে ক্ষতটি বিবর্ণ হয়ে যায় এবং ফোলাভাব কমে যায়।

একটি তোয়ালে গরম জলে ডুবিয়ে, মুড়িয়ে নিন এবং আক্রান্ত স্থানে আলতো করে রাখুন। দিনে দুবার এই প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করলে দ্রুত ফলাফল দেখা যাবে।

৩. আহত স্থানে ম্যাসাজ করা এড়িয়ে চলুন
অনেকে বিশ্বাস করেন যে ম্যাসাজ করলে রক্ত ​​সঞ্চালন এবং ক্ষত অদৃশ্য হয়ে যাবে, তবে এটি ক্ষতিকারক হতে পারে। আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে জোরে চাপ দিলে বা ম্যাসাজ করলে স্নায়ু আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এতে ব্যথা বাড়তে পারে এবং ফোলাভাব বাড়তে পারে।

তাই, আক্রান্ত স্থানে কমপক্ষে দুই দিন বিশ্রাম নিন। যেকোনও চাপ এড়িয়ে মৃদু কম্প্রেস প্রয়োগ করুন। ফোলাভাব এবং ব্যথা কমে গেলে, আপনি খুব হালকা উষ্ণ কম্প্রেস প্রয়োগ করতে পারেন।

৪. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসও গুরুত্বপূর্ণ
ক্ষত দ্রুত নিরাময়ের জন্য, কেবল বাহ্যিকভাবে চিকিৎসা করাই নয়, বরং শরীরকে অভ্যন্তরীণভাবে শক্তিশালী করাও গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার খান, যেমন লেবু, কমলা, পেয়ারা, পালং শাক এবং ব্রোকলি। এগুলো সঠিক রক্ত ​​সঞ্চালনকে উৎসাহিত করে এবং ত্বকের নিরাময় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।

৫. কখন ডাক্তারের সাথে দেখা করবেন
যদি আঘাতের চিহ্ন গভীর হয়, ব্যথা বৃদ্ধি পায়, অথবা কয়েক দিন পরেও দাগটি ম্লান না হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে দেখা করতে ভুলবেন না। ক্রমাগত ক্ষত কখনও কখনও ভিটামিনের অভাব বা অন্তর্নিহিত অবস্থার লক্ষণ হতে পারে।

No comments:

Post a Comment