উত্তর ২৪ পরগনা, ১৫ অক্টোবর ২০২৫: আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে। বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জমা তৃণমূল উপ-প্রধানের। 'ভিত্তিহীন অভিযোগ', দাবী প্রধানের। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁর।
বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির গোপালনগর থানার গঙ্গানন্দপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মলিনা সরকার ও বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সহ-সভাপতি জাফর আলী মণ্ডল। তাঁদের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের একাধিক সরকারি প্রকল্পের টাকা, সরকারি গাছ কেটে বিক্রি, জন্ম শংসাপত্র ডিজিটাল করার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে গত মাসের ২৭ তারিখে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন গঙ্গানন্দপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান আলীম তরফদার।
উপপ্রধান আলীম তরফদারের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের সমস্ত রকম খাজনা, সরকারি টাকা, সরকারি রাস্তা গাছের টাকা, একই সরকারি প্রকল্পের টাকা একাধিকবার নেওয়া ও বর্তমানে জন্ম শংসাপত্র ডিজিটাল করার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা তুলছেন প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি। উপ প্রধান আরও বলেন, 'পঞ্চায়েতে দু'বছর হল প্রধান গঠন হয়েছে কিন্তু কোনও কিছুতে আমাকে ডাকা হয় না। আমাকে জানানো হয় না। পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ও প্রধান নিজেরাই পঞ্চায়েত চালাচ্ছে। পঞ্চায়েতে লুট চালাচ্ছে।'
তবে এ বিষয়ে অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান মলিনা সরকার। তিনি বলেন, 'পঞ্চায়েতে আমরা সবাই মিলেমিশে কাজ করি। উপপ্রধান আলী তরফদার এমন অভিযোগ কেন করল বুঝতে পারছি না। অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।'
অন্যদিকে এই বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল। দেবদাস মণ্ডল বলেন, আজকে সাধারণ মানুষ না, কোনও বিরোধী দলের নেতা না, নিজেদের দলের উপপ্রধান, প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। সরকারের টাকা খেয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি।

No comments:
Post a Comment