লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৩ অক্টোবর ২০২৫: শীতকাল আসতেই চলেছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়া ও পরিবর্তিত আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের শরীরের অতিরিক্ত যত্ন এবং পুষ্টির প্রয়োজন। এই ঋতুতে অসুস্থতা এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হল আপনার খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তন আনা। আর এই পরিবর্তনটি আপনার প্রতিদিনের আটা দিয়েই শুরু করা যেতে পারে।
বাজারে পাওয়া মাল্টিগ্রেইন আটা ব্যবহার না করে, আপনি এই শীতে বাড়িতেই বিশেষ মাল্টিগ্রেইন আটা তৈরি করতে পারেন। এটি শুধু খাঁটিই নয় বরং আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী হবে। এই আটা ফাইবার, প্রোটিন ও বিভিন্ন ভিটামিন সমৃদ্ধ, যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য শক্তি দেয়।
মাল্টিগ্রেইন আটা তৈরি করতে কী কী উপাদান প্রয়োজন?
গম - ৫ কেজি
ছোলা - ১ কেজি
যব - ১ কেজি
বাজরা বা রাগি - ৫০০ গ্রাম
সয়াবিন - ২৫০ গ্রাম
তিসি - ১০০ গ্রাম
মেথি বীজ - ৫০ গ্রাম
মাল্টিগ্রেইন আটা কীভাবে তৈরি করবেন?
প্রথমে গম, ছোলা, যব এবং সয়াবিন ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। এগুলো ধুলো বা নুড়িমুক্ত থাকা উচিৎ। যদি আপনি আস্ত বাজরা/রাগি বা অন্যান্য শস্য ব্যবহার করেন, তাহলে সেগুলোও পরিষ্কার করুন।
আটা সহজে হজমযোগ্য করার জন্য, তিসি এবং মেথি বীজ ছাড়া বাকি সব শস্য ২-৩ ঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন।
ভেজা শস্যগুলি জল ঝরিয়ে পরিষ্কার কাপড়ে বিছিয়ে উজ্জ্বল রোদে বা ভালো বাতাসে শুকিয়ে নিন যতক্ষণ না সেগুলি সম্পূর্ণ শুকিয়ে যায়। শস্যগুলিতে কোনও আর্দ্রতা অবশিষ্ট থাকবে না, অন্যথায় আটা দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ভালো স্বাদ এবং পুষ্টির জন্য, আপনি তিসি, মেথি বীজ এবং গম ছাড়া বাকি সব শস্য অল্প আঁচে ২-৩ মিনিটের জন্য হালকাভাবে ভাজতে পারেন।
সব উপকরণ সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে, সেগুলো একত্রিত করে একটি মিল বা গ্রাইন্ডারে পিষে নিন। খেয়াল রাখবেন আটা যেন খুব মিহি না হয়ে যায়। একটু মোটা করে গুঁড়ো করে নিন যাতে আপনি তুষের উপকারিতাও পেতে পারেন।
শীতকালে মাল্টিগ্রেইন আটা খাওয়ার উপকারিতা কী কী?
বিভিন্ন শস্যদানা শরীরকে বিভিন্ন পুষ্টি সরবরাহ করে, যা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শরীরের ক্ষমতাকে মজবুত করে।
মাল্টিগ্রেইন আটার ফাইবার আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে, অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে।
মাল্টিগ্রেইন আটা প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং বি ভিটামিনের একটি চমৎকার উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি হাড় এবং পেশী মজবুত করে।
বি.দ্র: নতুন কোনও ফিটনেস রুটিন বা খাদ্যতালিকায় কোনও পরিবর্তনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

No comments:
Post a Comment