ধর্মেন্দ্র ও অমিতাভ বচ্চন যখনই এক মঞ্চে ওঠেন, দর্শকদের মনে অবধারিতভাবে ফিরে আসে কিংবদন্তি “জয়–বীরু” জুটি। ১৯৭৫ সালের শোলে—যেখানে প্রথম একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল এই দু’জনকে—সেই বন্ধন বহু বছর আগেই রূপকথায় পরিণত হয়েছে। জীবন বদলেছে, সময় এগিয়ে গেছে, কিন্তু তাদের জুটির সৃষ্ট স্মৃতিগুলো আজও অমলিন।
বলিউডের হি-ম্যান ধর্মেন্দ্র ৮৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু, “ছোট ভাই” অমিতাভ বচ্চন ছেলে অভিষেককে নিয়ে পৌঁছে যান শেষ বিদায় জানাতে। জীবনের শেষ দিকে যখন ধর্মেন্দ্র বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন, তখন বিগ বি নিজেই গাড়ি চালিয়ে তাকে দেখতে গিয়েছিলেন—বন্ধুত্বের সেই অটুট সম্পর্ক আজ আরও গভীর বেদনায় রঙিন।
ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে একটি পুরোনো ভিডিও আবার ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তিনি স্নেহভরে বলছেন—“অমিতাভ এখনও কাজ করছে। সে আমার ছোট ভাই। তাকে দেখে আমার খুব আনন্দ হয়। ঈশ্বর তাকে দীর্ঘায়ু করুন।” সেই মঞ্চে ছিলেন জয়া বচ্চন ও হেমা মালিনীও। অমিতাভ বচ্চনের চোখেও ছিল আবেগের ছাপ।
বন্ধুর মৃত্যুতে শোকাহত অমিতাভ বচ্চন তার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন তাঁর X (টুইটার)–এ। তিনি লিখেছেন—
“T 5575 – আরেকজন বীর কিংবদন্তি চলে গেলেন… রেখে গেলেন অসহনীয় নীরবতা। ধরমজি—মহত্ত্বের প্রতীক, শুধু তার শক্তিমান উপস্থিতির জন্য নয়, বরং তার বিশাল হৃদয়, সরলতা ও স্নেহময়তার জন্য স্মরণীয়। তিনি পাঞ্জাবের মাটির গন্ধ নিয়ে এসেছিলেন, আর সারা জীবন সেই মাটির মানুষই রয়ে গিয়েছিলেন। দশক বদলেছে, ইন্ডাস্ট্রি বদলেছে, কিন্তু তিনি বদলাননি—তার হাসি, আকর্ষণ, উষ্ণতা ছিল বিরল সম্পদ। আজ চারপাশের বাতাস শূন্য। এই শূন্যতা চিরকাল থাকবে। প্রার্থনা।”
দুজনেই একসঙ্গে ২৩টি ছবিতে কাজ করেছেন—যার বেশিরভাগই ব্লকবাস্টার। সিনেমা শেষ হলেও তাদের বন্ধুত্বের গল্প মানুষের মনে চিরন্তন। মৃত্যুর পরও ভক্তরা ধর্মেন্দ্রকে স্মরণ করছে সেই অবিচ্ছেদ্য “বীরু”র রূপেই।
অমিতাভ বচ্চনের নাতি অগস্ত্যের নতুন ছবিতেও ছিলেন ধর্মেন্দ্র। কিন্তু ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগেই ইন্ডাস্ট্রির এক যুগান্তকারী অধ্যায় চিরতরে শেষ হয়ে গেল।

No comments:
Post a Comment