মায়োপিয়া হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তি কাছের জিনিসগুলি স্পষ্ট দেখতে পান, কিন্তু দূরের জিনিসগুলি ঝাপসা দেখায়। এই সমস্যাটি তখন ঘটে যখন চোখ বড় হয় বা কর্নিয়া অতিরিক্ত বাঁকা থাকে। এর ফলে আলো রেটিনার উপর সঠিকভাবে ফোকাস করতে পারে না এবং দূরবর্তী জিনিসগুলি ঝাপসা দেখা যায়। বিশ্বব্যাপী, বিশেষ করে শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে, মায়োপিয়া ক্রমশ সাধারণ হয়ে উঠছে। অনেক দেশে, 40-50% শিশু কিছুটা মাত্রায় মায়োপিয়ায় আক্রান্ত।
মায়োপিয়া প্রধানত দুই ধরণের, সিম্পল মায়োপিয়া এবং হাই মায়োপিয়া। সিম্পল মায়োপিয়া ধীরে ধীরে অগ্রসর হয় এবং চশমার সাহায্যে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যেখানে হাই মায়োপিয়ায় সংখ্যাটি দ্রুত অগ্রসর হয় এবং রেটিনার সমস্যার ঝুঁকি বেশি থাকে। এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে দূর থেকে ঝাপসা দৃষ্টি, চোখের চাপ, ঘন ঘন পলক ফেলা, মাথাব্যথা এবং পড়ার সময় চোখ কুঁচকে যাওয়া।
দেশ, রাজ্য, নির্বাচন, খেলাধুলা, বিনোদন, বিশ্ব, ওয়েব স্টোরি, ব্যবসা, প্রযুক্তি, ধর্ম, অটো, জীবনধারা, স্বাস্থ্য, রাশিফল, ভিডিও, শিক্ষা, জ্ঞান, ট্রেন্ডিং
হিন্দি সংবাদ, স্বাস্থ্য, মায়োপিয়া কি বংশগত রোগ? বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জানুন
মায়োপিয়া কি এমন একটি রোগ যা এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে চলে যায়? বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জানুন
মায়োপিয়ার সমস্যা আজকাল উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মায়োপিয়া একটি সাধারণ চোখের সমস্যা, যার অনেক কারণ থাকতে পারে। এটি প্রশ্ন উত্থাপন করে যে একটি প্রধান কারণ কি জেনেটিক, অর্থাৎ এই রোগটি কি এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে যেতে পারে? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
মায়োপিয়া এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তি কাছের জিনিসগুলি স্পষ্ট দেখতে পান, কিন্তু দূরের জিনিসগুলি ঝাপসা দেখা যায়। এই সমস্যাটি তখন ঘটে যখন চোখের আকার বৃদ্ধি পায় বা কর্নিয়া অতিরিক্ত বাঁকা থাকে। আলো রেটিনার উপর সঠিকভাবে ফোকাস করতে পারে না, যার ফলে দূরবর্তী বস্তুগুলি ঝাপসা দেখায়। বিশ্বব্যাপী, বিশেষ করে শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে, মায়ূদৃষ্টি ক্রমশ সাধারণ হয়ে উঠছে। অনেক দেশে, 40-50% শিশু কিছুটা মায়ূদৃষ্টিতে আক্রান্ত।
মায়ূদৃষ্টি দুটি প্রধান ধরণের: সরল মায়ূদৃষ্টি এবং উচ্চ মায়ূদৃষ্টি। সরল মায়ূদৃষ্টি ধীরে ধীরে অগ্রসর হয় এবং চশমা দিয়ে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়, অন্যদিকে উচ্চ মায়ূদৃষ্টি দ্রুত অগ্রসর হয় এবং রেটিনার সমস্যার ঝুঁকি বেশি থাকে। লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ঝাপসা দৃষ্টি, চোখের চাপ, ঘন ঘন পলক ফেলা, মাথাব্যথা এবং পড়ার সময় কুঁচকে যাওয়া।
মায়োপিয়া কি এমন একটি রোগ যা এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে চলে যায়?
আজকের শিশুদের মধ্যে মায়োপিয়া একটি দ্রুত বর্ধনশীল সমস্যা। এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে এটি কেবল একটি জিনগত রোগ নয়, বরং জীবনযাত্রাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ। দিল্লির অ্যাভিয়েন্স আই কেয়ারের ডাঃ স্বপ্না চানানা (এমবিবিএস, এমএস) ব্যাখ্যা করেন যে যদি একজন বা উভয় বাবা-মায়ের মায়োপিয়া থাকে, তাহলে শিশুর মায়োপিয়া হওয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। তবে, আজকের বিশ্বে, শিশুদের দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের সংস্পর্শে থাকা, সীমিত বাইরে সময় কাটানো, খারাপ ভঙ্গিতে পড়া এবং কাছ থেকে দেখা এই সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
শিশুদের চোখ এখনও বিকশিত হচ্ছে, তাই স্ক্রিনের অবিরাম সংস্পর্শে চোখের পেশীগুলির উপর চাপ পড়ে এবং ধীরে ধীরে তাদের দূরদর্শিতা দুর্বল করে দেয়। তবে, ভালো অভ্যাসের মাধ্যমে মায়োপিয়ার অগ্রগতি মূলত নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। প্রতিদিন ১২ ঘন্টা বাইরে কাটানো, প্রাকৃতিক আলোতে খেলা করা, পড়াশোনার সময় ২০-২০-২০ নিয়ম অনুসরণ করা এবং বই এবং পর্দা ৩০-৪০ সেমি দূরে রাখা শিশুদের চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যদি পারিবারিকভাবে মায়োপিয়ার ইতিহাস থাকে, তাহলে নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করাও অপরিহার্য।
এই বিষয়গুলো মনে রাখবেন:
প্রতিদিন কমপক্ষে ১২ ঘন্টা বাইরের কার্যকলাপে উৎসাহিত করুন।
স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন এবং ২০-২০-২০ নিয়ম মেনে চলুন।
পড়াশোনা করার সময় বা স্ক্রিন দেখার সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।
ঘরটি ভালোভাবে আলোকিত রাখুন।
পড়াশোনা করার সময় অনুপযুক্ত ভঙ্গিতে বসা এড়িয়ে চলুন।
নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করান।
খুব ছোট বাচ্চাদের মোবাইল ফোন বা ট্যাবলেট থেকে দূরে রাখুন।

No comments:
Post a Comment