ভিটামিন ডি–এর ঘাটতি এখন দেশের সবচেয়ে সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর একটি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শহুরে জীবনযাপন, সূর্যালোকের অভাব, ঘর-কেন্দ্রিক কাজ এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে অধিকাংশ মানুষই অজান্তে ভিটামিন ডি–এর ঘাটতিতে ভুগছেন। এর ফলে হাড় ও পেশির দুর্বলতা, ক্লান্তি, মুড সুইং, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া থেকে শুরু করে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা পর্যন্ত দেখা দিতে পারে।
কেন ভিটামিন ডি খাবেন?
ডাক্তারদের মতে, ভিটামিন ডি শরীরের ‘ক্যালসিয়াম ব্যবস্থাপনা’ নিয়ন্ত্রণ করে। এর ঘাটতি হলে—
হাড় পাতলা হয়ে যায়
কোমর, পিঠ ও জোড়ায় ব্যথা বাড়ে
নার্ভ ও মাংশপেশিতে দুর্বলতা দেখা দেয়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়
বারবার ক্লান্তি, ঘোরঘোর ভাব ও শক্তির অভাব দেখা দেয়
মুড পরিবর্তন বা ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা বাড়তে পারে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন ডি পূরণ করা কঠিন। তাই সূর্যের আলো ও প্রয়োজন হলে সাপ্লিমেন্ট দুটোই প্রয়োজন।
কখন খাবেন ভিটামিন ডি?
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী—
রক্তে ভিটামিন ডি কম পাওয়া গেলে ডাক্তারের নির্দেশে সাপ্লিমেন্ট শুরু করতে হয়।
সাপ্লিমেন্ট সাধারণত খাবারের পরে খাওয়া ভালো, বিশেষ করে যেসব খাবারে কিছুটা চর্বি থাকে—কারণ ভিটামিন ডি ‘ফ্যাট-সলিউবল’।
অনেক ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক বা মাসিক ডোজ দেওয়া হয়—যা চিকিৎসার ধরণ অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।
60000 IU বা উচ্চমাত্রার ভিটামিন ডি নিজে থেকে শুরু করা উচিত নয়—কারণ অতিরিক্ত ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম বাড়িয়ে দেয়, যা কিডনি ক্ষতিও করতে পারে।
সূর্যালোক—সবচেয়ে প্রাকৃতিক উৎস
বিশেষজ্ঞদের মতে দিনে ১০–২০ মিনিট রোদে থাকা (সকাল 9টা–11টার মধ্যে) ভিটামিন ডি তৈরিতে সাহায্য করে। তবে শহরে দূষণ, স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট, ঘরবন্দি জীবন—এসব কারণে অনেকেই পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পান না।
কারা বেশি ঝুঁকিতে?
যাদের বেশি সময় ঘরে থাকতে হয়
যাদের ওজন বেশি
৪০ বছরের বেশি বয়সী নারী
যাদের দীর্ঘদিন পেশির ব্যথা বা ক্লান্তি রয়েছে
যারা নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন
ডায়াবেটিস বা থাইরয়েড রোগীরা

No comments:
Post a Comment