সকালের চা হোক, কাজের বিরতি হোক, অথবা সন্ধ্যার আরাম, চা প্রতিটি মুহূর্তকে বিশেষ করে তোলে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে চা পান করা যতটা আরামদায়ক, এটি আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে? বিশেষ করে যদি এটি ভুলভাবে, ভুল সময়ে বা অতিরিক্ত পরিমাণে পান করা হয়। অন্ত্রের স্বাস্থ্য সরাসরি শরীরের হজম শক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। যদি চা সঠিকভাবে পান না করা হয়, তাহলে অ্যাসিডিটি, পেট ফাঁপা, ক্ষুধা হ্রাস, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বুকজ্বালার মতো সমস্যা বাড়তে পারে। এই নিবন্ধে, আমরা পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ব্যাখ্যা করব যা মনে রাখা উচিত, এমনকি যদি আপনি চা প্রেমী হন, তাহলে সুস্থ পেট বজায় রাখতে, হজম উন্নত করতে এবং আপনার চা উপভোগ করতে পারেন। এই বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য, আমরা লখনউয়ের দ্য নিউট্রিওয়াইজ ক্লিনিকের পুষ্টিবিদ নেহা সিনহার সাথে কথা বলেছি।
সকালে খালি পেটে চা পান করলে অ্যাসিডিটি হতে পারে। পুষ্টিবিদ নেহা সিনহা ব্যাখ্যা করেছেন যে চায়ে থাকা ক্যাফেইন গ্যাস, পেট ফাঁপা এবং বমি বমি ভাবের কারণ হতে পারে। চা পান করার আগে হালকা কিছু খান, যেমন এক মুঠো বাদাম বা ফল।
২. খুব বেশি চা পান করবেন না - চা খাওয়া সীমিত করুন
দিনে ৩ থেকে ৪ কাপের বেশি চা পান করলে অন্ত্রের জীবাণুর ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। পুষ্টিবিদ নেহা সিনহা ব্যাখ্যা করেছেন যে অতিরিক্ত ক্যাফেইন হজমকে ধীর করে দেয় এবং পানিশূন্যতা বাড়ায়। আপনার চা খাওয়া কম রাখুন এবং ঘন ঘন পানি পান করুন।
৩. খুব মিষ্টি চা এড়িয়ে চলুন - খুব মিষ্টি চা এড়িয়ে চলুন
অতিরিক্ত চা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। চিনি খারাপ ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে, যা পেট ফাঁপা, ক্লান্তি এবং ওজন বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করে। চিনি সীমিত করুন এবং চিনি ছাড়া চা পান করার অভ্যাস করুন।
খাবারের পরপরই চা পান করলে আয়রনের শোষণ কমে যায় এবং পেটে ভারী ভাব তৈরি হয়। এটি হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। খাবারের মাত্র ৪৫ মিনিট পরে চা পান করুন।
৫. ভুল সময়ে চা এড়িয়ে চলুন
রাতে চা পান করলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এবং অন্ত্রে অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে পেটে অস্বস্তি হয়। অতএব, রাতে বা সন্ধ্যায় চায়ের পরিবর্তে আপনি ভেষজ চা খেতে পারেন।
সঠিকভাবে চা পান করলে, চা কেবল শরীরকে শক্তি যোগায় না বরং মেজাজও উন্নত করে। তবে, ভুল সময়ে, অতিরিক্ত পরিমাণে, অথবা খুব মিষ্টি বা ঘনীভূত আকারে চা পান করা আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।

No comments:
Post a Comment