প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:০০:০১ : অনেক সময় দেখা যায়, মানুষ পরিশ্রমও করে, আয়ও ভালো হয় তবুও হাতে টাকা ঠিকমতো থাকে না। যতই খরচ কমানোর চেষ্টা করা হোক না কেন, মাস শেষে সঞ্চয় বলতে কিছুই থাকে না। কারও কারও অবস্থা এমন হয় যে, নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ মেটাতেও ধার নিতে হয়। জ্যোতিষ ও হস্তরেখা শাস্ত্র বলছে এই পরিস্থিতির এক গোপন কারণ আপনার “ধনরেখা” বা “ভাগ্যরেখা” হতে পারে।
হস্তরেখা অনুযায়ী, এই রেখাই বলে দেয় একজন মানুষের উপার্জন, আর্থিক স্থিতি ও সম্পদ ধরে রাখার ক্ষমতা কেমন হবে। যদি এই রেখা একদম সোজা, গভীর ও স্পষ্ট হয়, তাহলে ব্যক্তি পরিশ্রম করে উপার্জিত অর্থও ধরে রাখতে পারে। কিন্তু যদি রেখাটি ভাঙা, বাঁকা বা অসমান হয় তবে অর্থ আসলেও তা টেকে না। এমন হাতেই গড়ে ওঠে “দারিদ্র্য যোগ”।
হাতের কোন জায়গায় থাকে ‘ধনরেখা’?
আপনার হাতের অনামিকা আঙুলের নিচে যে অংশটি আছে, সেটিকে বলে ‘সূর্য পর্বত’। সেখান থেকে নিচের দিকে যে রেখা নেমে আসে এবং হৃদরেখা ও মস্তিষ্করেখা অতিক্রম করে, তাকেই বলা হয় ‘ধনরেখা’ বা ‘Money Line’। এই রেখা মানুষের উপার্জন, খ্যাতি, বিনিয়োগ ও সম্মানের ইঙ্গিত দেয়।
ধনহানির ইঙ্গিত দেয় যে রেখা
যদি এই রেখা খুব পাতলা, বাঁকা বা মাঝেমাঝে ছিন্ন থাকে, তা বোঝায় মানুষ আয় করে, কিন্তু সঞ্চয় করতে পারে না। কখনও অসুস্থতায় খরচ বেড়ে যায়, কখনও হঠাৎ কোনও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এমন হাতের জাতকদের উচিত না হঠাৎ বিনিয়োগ করা বা ধার দেওয়া, না হলে জমা টাকাও হারিয়ে যেতে পারে।
অন্য রেখা যদি ধনরেখাকে কাটে
যদি হাতের অন্য কোনও রেখা ধনরেখাকে মাঝপথে ছেদ করে, তা সতর্কবার্তা হিসেবে ধরা হয়। এর মানে হলো যে বয়সে সেই রেখা কাটা পড়ছে, সেই সময়টায় আর্থিক ক্ষতি বা ব্যয়ের চাপ বাড়তে পারে। সেই সময়ে নতুন ব্যবসা, চুক্তি বা পার্টনারশিপে যাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।
একাধিক অশুভ রেখার সংযোগ
যদি হাতের সূর্যরেখা কাটা, ধনরেখা ভাঙা, আর শনি রেখা দ্বিখণ্ডিত হয়, তবে তা অর্থসংকট ও আর্থিক অনিশ্চয়তার দিকেই ইঙ্গিত দেয়। এমন মানুষরা জীবনে বারবার অর্থকষ্টের মুখোমুখি হন, এবং স্থায়ীভাবে স্থিতিশীল হতে সময় লাগে। কখনও কখনও এই যোগ পূর্বপুরুষের সম্পত্তি হারানো বা সঞ্চিত অর্থ ক্ষয়ের প্রতীকও হতে পারে।
করণীয় ও সহজ উপায়
যদি আপনার হাতেও এমন রেখা থাকে, ভয় পাবেন না কারণ ভাগ্য বদলানোরও উপায় আছে।
প্রতি শুক্রবার মা লক্ষ্মীর পূজা করুন এবং শুদ্ধ ঘিতে প্রদীপ জ্বালান।
গণেশজি ও কুবেরদেবের আরাধনা করুন।
শুক্রবারে সাদা জিনিস দান করুন, যেমন চাল বা দুধ।
সবচেয়ে জরুরি অর্থ খরচ করুন বুঝে-শুনে, এবং কোনও প্রলোভনে না পড়ুন।

No comments:
Post a Comment