প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:০০:০১ : অনেকেই বিশ্বাস করেন যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক শুধুমাত্র মানসিক দুর্বলতা, পারস্পরিক বিরোধ বা আকস্মিক সাক্ষাতের কারণে তৈরি হয়, কিন্তু বাস্তুশাস্ত্র এই বিষয়টিকে সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। বাস্তু অনুসারে, একটি বাড়ির দিকনির্দেশনা কেবল দেয়াল বা কোণ নয়। তারা আমাদের মন, আকর্ষণ, চিন্তাভাবনা, আবেগ এবং সম্পর্কের সমগ্র শক্তিকে প্রভাবিত করে। যারা দীর্ঘমেয়াদী বিভ্রান্তি, দূরত্ব, সন্দেহ বা তাদের সম্পর্কের মধ্যে অবাঞ্ছিত আকর্ষণ অনুভব করেন তারা প্রায়শই বুঝতে পারেন না কেন। তবে, বাস্তুর ভাষায়, এটিকে "শক্তি ভারসাম্যহীনতা" হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যখন একটি বাড়ির প্রধান দিকগুলি বিকৃত হয়, বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম, দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্বে, তখন এটি সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা, অবাঞ্ছিত প্রবণতা, মানসিক অস্থিরতা এবং অন্যদের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করতে পারে। এই প্রভাব হঠাৎ ঘটে না, বরং ধীরে ধীরে মনকে দুর্বল করে দেয়। বাড়ির পরিবেশ শান্ত দেখাতে পারে, কিন্তু ভিতরে লুকানো শক্তি সম্পর্কের মধ্যে একটি অদৃশ্য ফাটল তৈরি করে। এই প্রতিবেদনে, আমরা ভোপাল-ভিত্তিক জ্যোতিষী, বাস্তু বিশেষজ্ঞ এবং সংখ্যাতত্ত্ববিদ হিমাচল সিং-এর কাছ থেকে বাহ্যিক সম্পর্ক এবং বাস্তুর মধ্যে সম্পর্ক, কোন দিকগুলি এই সমস্যায় অবদান রাখে এবং এই পরিস্থিতিগুলি মোকাবেলার সহজ সমাধান সম্পর্কে শিখব। লক্ষ্য কাউকে দোষারোপ করা নয়, বরং বোঝা যে একটি সুষম বাড়ি কীভাবে সম্পর্ককে শক্তিশালী এবং সম্মান করতে পারে।
সম্পর্কের উপর দিকনির্দেশের প্রভাব
বাস্তু অনুসারে, কোন দিকগুলি বাহ্যিক সম্পর্ককে উৎসাহিত করে?
সম্পর্কের উপর দিকনির্দেশের প্রভাব
দক্ষিণ-পশ্চিম - সম্পর্ককে স্থিতিশীল রাখে এমন কোণ
দক্ষিণ-পশ্চিমকে সম্পর্কের শক্তির কেন্দ্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যখন এই এলাকায় একটি টয়লেট, রান্নাঘর, জলের ট্যাঙ্ক বা আলোর জিনিসপত্র থাকে, তখন পারস্পরিক বিশ্বাস হ্রাস পেতে শুরু করে। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি দেখা দেয় এবং মন বাইরের আকর্ষণের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এই দিকের শক্তি দুর্বল হওয়ার সাথে সাথে সম্পর্কের স্থায়িত্ব ভেঙে যায়।
উত্তর-পশ্চিম – পরিবর্তনশীল মন
উত্তর-পশ্চিম হল মানসিক গতিবিধি, সংযোগ এবং সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত এলাকা। যদি শয়নকক্ষ এখানে অবস্থিত হয়, অথবা এই দিকে প্রচুর কার্যকলাপ থাকে, তাহলে একজন ব্যক্তির মন অস্থির থাকে। আবেগ দ্রুত পরিবর্তিত হয় এবং সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে, যা পুরানো বা নতুন আকর্ষণের দ্বারা প্রভাবিত হয়।
দক্ষিণ-পূর্ব – আকর্ষণ এবং আকাঙ্ক্ষার সাথে সম্পর্কিত দিক
দক্ষিণ-পূর্বকে আগুন এবং সৌন্দর্যের দিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যখন এই দিকে কোনও ঝামেলা হয়, যেমন টয়লেট বা রান্নাঘরে জল এবং আগুন উপস্থিত থাকে, তখন আবেগ তীব্র হয়ে ওঠে এবং নিয়ন্ত্রণ হ্রাস পায়। এটি মনকে এমন আকর্ষণের দিকে ঠেলে দিতে পারে যা আসলে প্রয়োজন হয় না।
সম্পর্কের উপর দিকনির্দেশের প্রভাব
পূর্ব – চিন্তাভাবনা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিক
যদি এই দিকে আলো না থাকে বা স্থানটি বন্ধ থাকে, তাহলে একজন ব্যক্তির চিন্তাভাবনা দুর্বল হয়ে পড়ে। সঠিক এবং ভুলের মধ্যে পার্থক্য ঝাপসা হয়ে যায়। যখন পূর্ব দুর্বল থাকে, তখন একজন ব্যক্তি ভুল পদক্ষেপ নিতে বেশি সময় নেয় না।
সম্পর্ক রক্ষার সহজ টিপস
-দক্ষিণ-পশ্চিম দিকটি সর্বদা শক্তিশালী এবং পরিষ্কার রাখুন।
আপনার উত্তর-পশ্চিম শোওয়ার ঘরটি হালকা রঙের করুন এবং রোমান্টিক ছবি এড়িয়ে চলুন।
আপনার রান্নাঘরটি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রাখুন এবং জল এবং আগুন আলাদা রাখুন।
সকালের সূর্যের আলো পূর্ব দিকে প্রবেশ করতে দিন।
আপনার স্বামী এবং স্ত্রীর প্রধান শোওয়ার ঘরটি সর্বদা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রাখা ভাল।

No comments:
Post a Comment