'কংগ্রেসের থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ চুরি করেছে আরজেডি', মহাজোটের ফাটল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, November 2, 2025

'কংগ্রেসের থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ চুরি করেছে আরজেডি', মহাজোটের ফাটল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী


ন্যাশনাল ডেস্ক, ০২ নভেম্বর ২০২৫: মিশন বিহার উপলক্ষে রবিবার আরায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখানে তিনি মহাজোটের অভ্যন্তরীণ অবস্থার ওপর তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন যে, আরজেডি এবং কংগ্রেসের মধ্যে ভালো সম্পর্ক নেই। কংগ্রেস চায়নি আরজেডির তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করা হোক। তবে, আরজেডিরা কংগ্রেসের কানপট্টিতে বন্দুক রেখে তাঁদের নেতাকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ঘোষণা করেছে।


রবিবার থেকে বিহারে প্রধানমন্ত্রী মোদীর জোরালো নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই বিহারে অথবা বিহারের জনগণের সাথে যোগাযোগ রাখবেন। আরার সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, বিহার নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের একদিন আগে, বিহারে বন্ধ ঘরে গুন্ডামির খেলা হয়। কংগ্রেস কখনও চায়নি যে, মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য আরজেডি নেতার নাম চূড়ান্ত করা হোক। কিন্তু আরজেডিও সুযোগ হাতছাড়া করেনি। আরজেডি, কংগ্রেসের কানপট্টিতে বন্দুক রেখে মুখ্যমন্ত্রী পদ চুরি করে নেয়। প্রথমে ঘরে জোর করে সবকিছু ঠিক করিয়ে নেওয়া হয় আর তারপরে জবরদস্তি কংগ্রেসকে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থীর প্রতি সমর্থন ঘোষণা করতে বাধ্য করা হয়।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘোষণাপত্র তৈরিতেও কংগ্রেস কোনও মত চলেনি। নির্বাচনী প্রচারণায় তাদের কথা শোনা যাচ্ছে না। নির্বাচনের আগে থেকেই ঘৃণা এতটাই বেড়ে গেছে যে ফলাফলের পর তারা একে অপরের সাথে লড়াই শুরু করবে। এই ধরণের লোকেরা কখনও বিহারের কোনও উপকার করতে পারবে না। একদিকে এনডিএ-র সুশাসন, অন্যদিকে জঙ্গলরাজের কুশাসন। জঙ্গলরাজ ছিল এক অন্ধকার যা বিহারকে ফাঁকা করে দিয়েছিল। আরজেডি-র জঙ্গলরাজের বৈশিষ্ট্য হল এই বিষয়গুলি: ভয়, বন্দুক/হিংসা, নিষ্ঠুরতা, খারাপ আচরণ, খারাপ শাসন এবং দুর্নীতি। আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মেয়ের ভিডিও দেখছিলাম। মেয়েটি বলেছিলেন যে, আরজেডি যখন কয়েক মাসের জন্য এখানে সরকারে যোগ দিয়েছিল, তখন মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে বিহার জঙ্গলরাজের ট্রেলার দেখতে পায়।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এনডিএ-র সংকল্পপত্রে গ্রামীণ সমৃদ্ধির পরিকল্পনাও রয়েছে। বিহারের ভিন্ন-ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন-ভিন্ন ফসল উৎপাদন করা হয়। বিহারে ফুড পার্কের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত করা হবে। আমাদের সরকার কিষাণ সম্মান নিধির অধীনে কৃষকদের ৬,০০০ টাকা প্রদান করে। বিহারের নতুন এনডিএ সরকার অতিরিক্ত ৩,০০০ টাকা প্রদান করবে। পশুপালকদের আয় বৃদ্ধির জন্য দুগ্ধ মিশন ঘোষণা করা হয়েছে। একটা সময় ছিল যখন বিহার অন্যান্য রাজ্য থেকে মাছ আমদানি করত। এনডিএ সরকারের নীতির জন্য বিহার এখন অন্যান্য রাজ্যে মাছ রপ্তানি এবং বিক্রি করে। জেলেদের জন্য আরও একটি সুখবর। এনডিএ জুব্বা সাহনি মৎস্যপালক সহায়তা প্রকল্পের আওতায় তাদের বার্ষিক ৯,০০০ টাকা প্রদান করবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad