প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০০:০১ : সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও দ্রুত ভাইরাল হয়েছে, যেখানে এক পণ্ডিতজি ব্যাখ্যা করছেন ছেলেদের বুকের ওপর লোম থাকা বা না থাকার সঙ্গে তাদের স্বভাব, ব্যক্তিত্বর কী সম্পর্ক রয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রচলিত ধারণায় শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের গঠন ও প্রকৃতিকে গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাবের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। সেই কারণেই বুকের লোমও ব্যক্তির স্বভাব, চিন্তাভাবনা ও ক্ষমতার একটি বিশেষ ইঙ্গিত বলে মনে করা হয়। অনেকের বুক ভরা লোম থাকে, আবার কারও থাকে না। পণ্ডিতজির দাবী, এদের স্বভাবেও থাকে বড় পার্থক্য। কিন্তু সত্যিই কি শরীরের লোমের সঙ্গে জ্যোতিষের কোনো যোগ আছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে পণ্ডিতজি বলছেন—
“অধিকাংশ পুরুষের বুকের ওপর লোম থাকে। তবে কিছু মানুষের বুকের লোম একেবারেই থাকে না। এটি জন্মগত প্রারব্ধ বা পূর্বজন্মের কর্মফলের সঙ্গে যুক্ত।” তিনি বলেন, বুকের লোম থাকা পুরুষত্ব বা ‘মর্দাঙ্গনির’ একটি প্রতীক।
বুকের ওপর লোম থাকা ছেলেরা কেমন হন?
পণ্ডিতজির দাবী অনুযায়ী—
বুকের লোম থাকা ছেলেরা বেশ প্রতিভাবান হন।
নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন, যদিও কখনও কখনও এই একগুঁয়েমি সমস্যা বাড়াতে পারে।
তারা কথার মানুষ—যা বলেন, তা পালন করার চেষ্টা করেন।
সমাজে নিজের সম্মান বজায় রাখতে সচেতন থাকেন।
জ্যোতিষ মতে, ঘন বুকের লোম থাকে এমন মানুষকে শক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন ও সাহসী বলা হয়।
রুক্ষ ও শক্তপোক্ত দেখালেও, মনের দিক থেকে তারা বেশ কোমল, সংবেদনশীল এবং খুবই কেয়ারিং।
সম্পর্কে তারা বিশ্বস্ত ও ভরসাযোগ্য হন।
বুকের ওপর লোম না থাকা ছেলেরা কেমন হন?
ভিডিওতে পণ্ডিতজির বক্তব্য—
বুকের লোম না থাকা ছেলেরা নাকি ততটা কেয়ারিং নন।
প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেন না, কথায় স্থির থাকেন না।
অন্যদের বোকা ভাবার প্রবণতা থাকে, নিজেকে বড় কিছু মনে করেন।
নিজেদের পুরুষোচিত দায়িত্ব ও কর্তব্য ভুলে যান।
তারা মনে করেন তারা খুব আত্মবিশ্বাসী, কিন্তু বাস্তবে সেই আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে পারেন না।
অন্যের তোষামোদ করা, সবার সঙ্গে মিলে চলার চেষ্টা করা—এগুলো তাদের স্বভাবের বৈশিষ্ট্য বলে পণ্ডিতজি দাবী করেছেন।

No comments:
Post a Comment