প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:০৫:০১ : বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে উমর খালিদ, শারজিল ইমাম এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের জামিন আবেদনের শুনানি হয়। শুনানির সময়, দিল্লী পুলিশের প্রতিনিধিত্বকারী এএসজি এসভি রাজু জামিন আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেন। শুনানির সময় আরও বলা হয় যে, ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ারদের তাদের পেশা বন্ধ করে দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত হওয়া আজকাল একটি প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দিল্লী পুলিশের প্রতিনিধিত্বকারী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং এনভি আঞ্জারিয়ার বেঞ্চকে বলেন যে বিচারে বিলম্ব অভিযুক্তদের কারণে হয়েছে এবং তারা এর সুযোগ নিতে পারে না। রাজু সুপ্রিম কোর্টকে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে ইমামের উস্কানিমূলক বক্তৃতার ভিডিও দেখিয়েছেন।
ভিডিওগুলিতে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লী দাঙ্গার আগে, ২০১৯ এবং ২০২০ সালে ইমামকে চাখন্ড, জামিয়া, আলিগড় এবং আসানসোলে বক্তৃতা দিতে দেখা গেছে। আইনজীবী জানিয়েছেন যে ইমাম একজন ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক। তিনি বলেন, "আজকাল এটা একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে যে ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়াররা তাদের পেশাগত কাজ না করে দেশবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে।" রাজু বলেন, "এগুলো সাধারণ বিক্ষোভ নয়। এগুলো হিংসাত্মক বিক্ষোভ। এরা বন্ধের কথা বলছে।"
এই পর্যায়ে বিচারপতি কুমার জিজ্ঞাসা করেন যে বক্তৃতাগুলো কি চার্জশিটের অংশ ছিল, যার উত্তরে রাজু হ্যাঁ বলেন। খালিদ, ইমাম, গলফিশা ফাতিমা, মীরান হায়দার এবং রহমানকে ২০২০ সালের দাঙ্গার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করার জন্য বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (UAPA) এবং পূর্ববর্তী ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ধারার অধীনে অভিযুক্ত করা হয়েছিল, যার ফলে ৫৩ জন নিহত এবং ৭০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিল।
শুনানির সময়, ASG আদালতকে বলেন যে বিচারিক আদালতে বিলম্বের জন্য অভিযুক্তরা নিজেরাই দায়ী। তিনি সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী নির্দেশের উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে বেশ কয়েকবার, অভিযোগ গঠনের সময় যুক্তি উপস্থাপনের সময় অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত হননি। দিল্লী পুলিশের যুক্তি, এই ধরনের পরিস্থিতিতে জামিন দেওয়া ঠিক হবে না, কারণ অভিযুক্তরাই নিজেরাই বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার কারণ।
No comments:
Post a Comment