লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৭ নভেম্বর ২০২৫: শীতের এলেই ত্বকের শুষ্কতা বেড়ে যায়। এই সময় অনেকেই বডি লোশন বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন ত্বককে নরম করতে। কিন্তু যদি আপনিও শরীরে মাখার লোশন বা ময়েশ্চারাইজার মুখে লাগান, তাহলে এই অভ্যাসটি পরিবর্তন করুন। মুখ ময়েশ্চারাইজ করার জন্য এগুলো ব্যবহার করা ক্ষতিকারক হতে পারে। মুখের ত্বক অনেক পাতলা, বেশি সংবেদনশীল এবং আপনার শরীরের ত্বকের চেয়ে আলাদা। তাই জানতে হবে বডি লোশন এবং ফেস ময়েশ্চারাইজারের মধ্যে পার্থক্য কী এবং মুখে এগুলো লাগানো আদৌ উপকারী কিনা। এছাড়াও, মুখে বডি লোশন লাগানোর প্রভাব সম্পর্কেও জানতে হবে।
বডি লোশন এবং ফেস ময়েশ্চারাইজারের মধ্যে পার্থক্য-
বডি লোশন বা বডি ময়েশ্চারাইজার ফেস ময়েশ্চারাইজারের থেকে বেশ আলাদা। বডি ময়েশ্চারাইজার, ফেস ময়েশ্চারাইজারের চেয়ে ভারী এবং তৈলাক্ত। শরীরে লাগালে এটি সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। তবে, মুখে লাগালে ব্রণ-প্রবণ বা তৈলাক্ত ত্বকে সমস্যা হতে পারে। সুগন্ধের জন্য বডি লোশনে সুগন্ধি যোগ করা হয়। অতএব, মুখে লাগালে ত্বকের অ্যালার্জি সহ অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ফেস ময়েশ্চারাইজার লাগানোর উপকারিতা
মুখের ময়েশ্চারাইজারগুলি বেশিরভাগই নন-কমেডোজেনিক। এগুলি খুব হালকা এবং তৈলাক্ত চেহারা রাখে না। মুখের জন্য এমন পণ্য প্রয়োজন, যা গভীরভাবে প্রবেশ করে এবং ছিদ্র আটকে না দিয়ে ময়েশ্চারাইজ করে। বিশেষজ্ঞরা মুখে বডি লোশন বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন। ফেস ময়েশ্চারাইজার লাগানো ত্বককে নরম রাখতে সাহায্য করে এবং সূক্ষ্ম রেখা ও বলিরেখা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

No comments:
Post a Comment