প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০২:০২ : ভারত ক্রমাগত আধুনিকীকরণ এবং তার সামরিক প্রযুক্তিকে স্বনির্ভর করার দিকে এগিয়ে চলেছে। এই দৃঢ় সংকল্পের মধ্যে, DRDO আরেকটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জন করেছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর Su-30MKI যুদ্ধবিমান থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য দূরপাল্লার গ্লাইড বোমার সফল পরীক্ষা করা হয়েছে। 'গৌরব' নামে এই আদিবাসী অস্ত্রটি দূর থেকে নির্ভুলতার সাথে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম।
'গৌরব' এমন একটি অস্ত্র যা বিমানকে বিপদে না ফেলেই শত্রুকে আঘাত করতে পারে। আকাশ থেকে উৎক্ষেপণের পরে, এটি যথেষ্ট দূরত্বের জন্য গ্লাইড করে এবং লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত করে। এর দীর্ঘ পাল্লার কারণে, এটি শত্রুর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে। এর ভারী ওজন এবং উচ্চ ধ্বংসাত্মক শক্তি এটিকে বাঙ্কার, সুরক্ষিত অবস্থান এবং পাহাড়ি অবস্থানের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর করে তোলে।
DRDO দুটি রূপে এই অস্ত্র তৈরি করেছে। প্রথম সংস্করণ, গৌরব-PCB, সুরক্ষিত কাঠামো এবং স্থল বাঙ্কার ভেদ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি পাহাড়ি ভূখণ্ডে অভিযানে কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে। দ্বিতীয় সংস্করণ, গৌরব-পিএফ, খোলা লক্ষ্যবস্তু, সৈন্য মোতায়েন, অথবা কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে একাধিক ক্ষতি করতে ব্যবহৃত হবে।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর Su-30MKI ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি উন্নত অস্ত্রে সজ্জিত। এটি ইতিমধ্যেই রুদ্রম ক্ষেপণাস্ত্র, SAAW অস্ত্র ব্যবস্থা এবং ব্রহ্মোস-এ দিয়ে সজ্জিত, এবং 'গৌরব' যোগ করা বিমানটিকে আরও দূরপাল্লার স্থল আক্রমণে সক্ষম করে তোলে। এই সংযোজন বিমান বাহিনীকে আধুনিক যুদ্ধের জন্য এমন একটি ক্ষমতা দেয় যা বিশ্বের প্রধান সেনাবাহিনী দ্বারাও মূল্যবান।
ফাইটার জেট ইঞ্জিনের জন্য বিদেশী কোম্পানিগুলির উপর ভারতের নির্ভরতা দীর্ঘদিন ধরে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই কারণেই তেজস Mk2 এবং AMCA-এর মতো দেশীয় যুদ্ধবিমানের প্রকল্পগুলি বিলম্বিত হয়েছে। এখন, সরকার এবং DRDO উভয়ই দেশীয়ভাবে ইঞ্জিন এবং অস্ত্র ব্যবস্থা তৈরির উপর জোর দিচ্ছে। বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র, রাডার, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধ প্রযুক্তি সবকিছুই দ্রুত অগ্রগতি লাভ করছে, যা আগামী বছরগুলিতে ভারতের পূর্ণ স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে গৌরবের সফল পরীক্ষা ভারতের পরিবর্তিত সামরিক কৌশলের লক্ষণ। আধুনিক যুদ্ধে, কেবলমাত্র একটি দেশকেই দূর থেকে উচ্চ নির্ভুলতার সাথে আঘাত করতে সক্ষম বলে মনে করা হয়। গৌরবের আগমনের সাথে সাথে, ভারত এই ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করছে এবং ভবিষ্যতে বিমান বাহিনীর রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য এটি একটি অনুঘটক হিসেবে প্রমাণিত হবে।

No comments:
Post a Comment