ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৮ নভেম্বর ২০২৫: কথায় বলে জোর করে ভালোবাসা যায় না। একই ভাবে জোর করে কাউকে চুমু খাওয়াটাও উচিৎ নয়। আর কেউ যদি ভুলেও এই কাণ্ড ঘটাতে যান, তাহলে তাঁর অবস্থা যে কী ভয়ানক হতে পারে তা হয়তো কেউ কল্পনাও করতে পারবেন না। ঠিক এমনটাই হয়েছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে এক যুবকের সঙ্গে। জোর করে যুবতীকে চুমু করার বড়সড় মূল্য চোকাতে হয়েছে তাকে; যুবতী দাঁত দিয়ে কামড়ে ওই যুবকের জিভ কেটে নেন। আহত অবস্থায় যুবকটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে। এদিকে, পুলিশ তার সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে যাতে তাকে গ্রেফতার করা যায়।
অভিযোগ, ওই যুবতীর পিছু নিতেন যুবক। এমনকি তাকে হেনস্থাও করতেন এবং জোর করে জাপটে ধরতেন। যুবকের এই নোংরা আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে যুবতী দাঁত দিয়ে কামড়ে তার জিভ কেটে ফেলে। পুলিশের কাছেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আহত যুবকটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং পুলিশ সুস্থ হওয়ার সাথে সাথে তাকে গ্রেফতারের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কানপুরের বিলহাউর এলাকার একটি গ্রামে। গ্রামের বাসিন্দা চম্পি বিবাহিত এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে। তা সত্ত্বেও, বেশ কিছুদিন ধরে গ্রামের এক যুবতীর পিছনে ছুটছিলেন। ওই যুবতী তাকে বেশ কয়েকবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়নি, ওই যুবক নিজের পথেই চলতে থাকে।
এরই মধ্যে গত সোমবার, ওই যুবতী মাটি সংগ্রহ করতে ক্ষেতে গিয়েছিলেন, ঠিক তখনই চম্পিও চুপিচুপি পিছু-পিছু সেখানে পৌঁছে যায়। সে যুবতীকে ধরে জোর করে চুমু খেতে শুরু করে। যুবতী প্রতিবাদ করে, কিন্তু চেষ্টা করেও তাকে দূরে ঠেলে দিতে পারেনি। তবে, সুযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই যুবতী দাঁত দিয়ে তার জিভ কামড়ে কেটে ফেলে ন। জিভ কাটার সাথে সাথেই চম্পি ব্যথায় চিৎকার করতে থাকে, তার মুখ থেকে রক্ত বের হতে থাকে এবং সে ক্ষেতেই পড়ে যায়।
এরপর যুবতী তার ভাইদের খবর দেয়। চম্পির পরিবারও ঘটনাস্থলে আসে। তারা যুবতীর ভাইদের বিরুদ্ধে জিভ কেটে নেওয়ার অভিযোগ করে, কিন্তু পুলিশ তদন্ত করে দেখে যে তাঁরা সেই সময় গ্রামে ছিলেষ না। এরপর পুলিশ যুবকটিকে বিলহাউর সরকারি হাসপাতালে পাঠায়, সেখান থেকে তাকে কানপুর মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়।
স্টেশন ইনচার্জ অশোক কুমার সরোজ জানান, চম্পি বেশ কয়েকদিন ধরে যুবতীর পিছু নিয়ে আসছিল। সে তাকে জোরজবরদস্তি করে এবং জোর করে তার ওপর নির্যাতন চালায়। এই সময় যুবতী তার জিভ কামড়ে কেটে ফেলে। যুবতীর তরফে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সুস্থ হওয়ার সাথে সাথে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে।

No comments:
Post a Comment