লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০২ নভেম্বর ২০২৫: আজকাল, বেশিরভাগ মানুষ তাঁদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন। অনেকেই আবার ফিট ও স্লিম থাকতে গ্রিন টি পান করেন। এটা ঠিক যে, এটি কেবল ওজন কমাতেই সাহায্য করে না বরং শরীরকে সুস্থ রাখে। এটি একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসাবেই বিবেচিত হয়। এই কারণেই অনেকেই গ্রিন টি দিয়ে তাদের দিন শুরু করতে পছন্দ করেন। যদিও এটা সত্য যে গ্রিন টি-এর অনেক গুণ রয়েছে, তার অর্থ এই নয় যে এটি সবার জন্য উপকারী, কিছু মানুষের জন্য ক্ষতিকারকও হতে পারে। প্রায়শই, মানুষ চিন্তা না করেই এটি পান করা শুরু করেন, যদিও এটি ঠিক নয়। কার এটি এড়ানো উচিৎ তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। গ্রিন টি কাদের জন্য উপকারী নয়, আসুন জেনে নেওয়া যাক -
হজমশক্তি খারাপ থাকলে
কেউ যদি কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যায় ভুগেন, তাহলে গ্রিন টি তাঁর জন্য উপযুক্ত নয়। এতে ট্যানিন নামক একটি পদার্থ থাকে, যা পেটের অ্যাসিড বাড়ায়। এতে করে পেটে ব্যথা হতে পারে।
গর্ভাবস্থা এবং বুকের দুধ খাওয়ানো
গর্ভবতী বা বুকের দুধ খাওয়ান এমন মহিলাদের জন্য গ্রিন টি ক্ষতিকারক হতে পারে। এতে উচ্চ পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে, যা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
রক্তাল্পতার রোগী
অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন এমন মানুষের গ্রিন টি এড়িয়ে চলা উচিৎ। এটি শরীরে আয়রন শোষণ কমিয়ে দেয়। দিনে দুই কাপের বেশি গ্রিন টি পান করলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
উদ্বেগ থাকলে
উদ্বেগে ভুগছেন এমন ব্যক্তির গ্রিন টি পান করা এড়িয়ে চলা উচিৎ। গ্রিন টি-তে থাকা ক্যাফেইন উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এটি হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি করতে পারে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
মাইগ্রেন রোগীরা
কারও মাথাব্যথা বা মাইগ্রেন থাকলে গ্রিন টি পান করা এড়িয়ে চলা উচিৎ। এতে থাকা ক্যাফেইন মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে। থাইরয়েডের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও গ্রিন টি পান সীমিত করা উচিৎ।
গ্রিন টি পান করার সঠিক উপায়-
গ্রিন টি সবসময় খাবারের এক ঘন্টা আগে বা পরে পান করা উচিৎ। এছাড়াও, দিনে মাত্র এক থেকে দুই কাপ পান করার চেষ্টা করুন। আর হ্যাঁ, গ্ৰিন টি পান শুরুর আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেওয়াই ভালো।

No comments:
Post a Comment