প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:০৬:০১ : ভারতের অর্থনীতি আবারও তার শক্তিশালী অবস্থান প্রদর্শন করেছে। চলতি অর্থবছরের (FY26) দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশের GDP বৃদ্ধি পেয়েছে ৮.২%, যা গত ছয় প্রান্তিকের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই প্রবৃদ্ধি কেবল প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যায়নি বরং দেশীয় চাহিদা, গ্রামীণ অর্থনীতি এবং সরকারি ব্যয়ের শক্তিকেও স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করে।
GDP বৃদ্ধি, যা আগের প্রান্তিকে ৭. ৮% ছিল, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৮.২% এ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থনীতিবিদরা ৭.৩% প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, যেখানে RBI এটি ৭% অনুমান করেছিল। সরকারের GST হ্রাস, উৎসবের আগে মজুদ বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ এলাকায় নতুন চাহিদা এই প্রবৃদ্ধির পিছনে প্রধান কারণ ছিল।
২২শে সেপ্টেম্বর থেকে প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর GST হার হ্রাস করা হয়েছিল। এর ফলে গৃহস্থালীর জিনিসপত্র এবং মুদিখানার মতো FMCG পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেছেন যে জিএসটি ছাড়ের ফলে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার অতিরিক্ত সাশ্রয় হবে, যা ব্যয় বৃদ্ধি করবে এবং অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করবে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের তথ্য এই উন্নতির সত্যতা নিশ্চিত করে।
কৃষি ও খনির সমন্বয়ে গঠিত প্রাথমিক ক্ষেত্রটিতে বার্ষিক ৩.১% প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি ৩.৫% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা ধীর। খনির ক্ষেত্র তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল ছিল, মাত্র ০.০৪% হ্রাস পেয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নতি এবং ভালো বর্ষা কৃষি কার্যক্রমকে উৎসাহিত করেছে।
এদিকে, উৎপাদন ও বিদ্যুৎ উৎপাদন সহ মাধ্যমিক ক্ষেত্রটি ভালো পারফর্ম করেছে। সামগ্রিক শিল্প ৮.১% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং শুধুমাত্র উৎপাদন খাতই ৯.১% বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর উৎপাদন বৃদ্ধি ছিল মাত্র ২.২%, তাই এই বছরের উত্থান একটি উল্লেখযোগ্য স্বস্তি।
পরিষেবা খাতও শক্তিশালী পারফর্ম করেছে। তৃতীয় খাত ৯.২% বৃদ্ধি পেয়েছে, তারপরে বাণিজ্য, হোটেল এবং পরিবহন ৭.৪%, আর্থিক ও রিয়েল এস্টেট পরিষেবা ১০.২% এবং জনপ্রশাসন ও প্রতিরক্ষা ৯.৭% বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভারতের শক্তিশালী জিডিপি প্রবৃদ্ধির তিনটি মূল কারণ উঠে এসেছে: গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নতি, সরকারি মূলধন ব্যয় এবং বর্ধিত রপ্তানি। যদিও বেসরকারি বিনিয়োগ এবং নগর চাহিদা মন্থর রয়ে গেছে, অভ্যন্তরীণ খরচ জিডিপির প্রায় ৬০% অবদান রাখে, যা স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়।
.jpg)
No comments:
Post a Comment