Sunday, November 2, 2025

সফল উৎক্ষেপণ 'বাহুবলী'র, নির্বিঘ্নে মহাকাশে পাড়ি ইসরোর সবচেয়ে ভারী উপগ্রহর


ন্যাশনাল ডেস্ক, ০২ নভেম্বর ২০২৫: ইসরো তাদের বাহুবলী উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে সফলভাবে। সিএমএস-০৩ নামক এই উপগ্রহটি এলভিএম৩-এম৫ রকেটে করে উৎক্ষেপণ করা হয়ে। এর ভারী পেলোড ক্ষমতার জন্য এটিকে "বাহুবলী" নামকরণ করা হয়েছে। ৪,৪১০ কেজি ওজনের এই উপগ্রহটি ভারতের মাটি থেকে জিওসিনক্রোনাস ট্রান্সফার অরবিটে (GTO) উৎক্ষেপণ করা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভারী উপগ্রহ।


২৪ ঘন্টার কাউন্টডাউনের পর, ৪৩.৫ মিটার লম্বা রকেটটি রবিবার বিকেল ৫:২৬ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হয়। চেন্নাই থেকে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। ইসরোর বিবৃতি অনুসারে, প্রায় ১৬ থেকে ২০ মিনিটের উড্ডয়নের পর, রকেটটি ১৮০ কিলোমিটার উচ্চতায় উপগ্রহ থেকে আলাদা হয়ে যাবে।



ইসরো অনুসারে, এলভিএম৩ (লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩) একটি নতুন ভারী-লিফ্ট ভেহিকেল। এর ব্যবহার ৪,০০০ কেজির মহাকাশযানকে সহজ ভাবে জিটিও-তে স্থাপন করতে করা হবে।


দুটি সলিড মোটর স্ট্র্যাপ-অন (এস২০০), একটি লিক্যুইড প্রোপেল্যান্ট কোর স্টেজ (এল১১০) এবং একটি ক্রায়োজেনিক স্টেজ (সি২৫) নিয়ে গঠিত এই তিন-পর্যায়ের উৎক্ষেপণ যানটি ইসরো-কে জিটিও-তে ৪০০০ কেজি পর্যন্ত ওজনের ভারী যোগাযোগ উপগ্রহ উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বনির্ভরতা প্রদান করে। এলভিএম৩ - কে ইসরোর বিজ্ঞানীরা জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (জিএসএলভি) এমকে৩ নামেও ডাকে।


জানা গিয়েছে, ভারত মহাসাগরে ভারতীয় নৌসেনার নজরদারির কাজে এই শক্তিশালী সিএমএস৩ সাহায্য করবে। এই উপগ্রহটি দেশের প্রতিরক্ষার কাজে বিশেষ ভূমিকা নেবে।


প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো ও আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা যৌথভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রাডার অ্যান্টেনা কক্ষপথে স্থাপন করেছে। মূলত ভূমিকম্প, হিমবাহ, জলবায়ু পরিবর্তনের মত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের খবর দেবে এটি। এই বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন রাডার অ্যান্টেনা পৃথিবী থেকে ৪৬০ মাইল দূরে মহাকাশে স্থাপন করা হয়েছে।

No comments:

Post a Comment