প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০০:০১ : পুরীর জগন্নাথ মন্দির একটি আশ্চর্যজনক এবং রহস্যময় স্থান, সেইসাথে চার ধামের মধ্যে একটি। মন্দিরের ভেতরে ভগবান জগন্নাথ, তাঁর বোন সুভদ্রা এবং তাঁর ভাই বলরামের দর্শন সকলকে মুগ্ধ করে। এটি কেবল একটি মন্দির নয়, বরং এমন একটি স্থান যা মানুষের চিন্তাভাবনা এবং অভিজ্ঞতাকে বদলে দেয়। এই কারণে, প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ভক্ত এখানে আসেন এবং প্রত্যেকেই রহস্যের অনুভূতি নিয়ে ফিরে আসেন। জগন্নাথ মন্দিরটি দেবী লক্ষ্মীর আবাসস্থল হিসেবেও পরিচিত এবং এটি তাঁর নির্দেশনায় পরিচালিত হয়। আপনি হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে মন্দিরের বাইরে মৃতদেহের গন্ধ থাকে, কিন্তু ভিতরে তা অদৃশ্য হয়ে যায়। আসুন এই রহস্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি কখনও মন্দির পরিদর্শন করে থাকেন, তাহলে আপনি হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে বাইরের চিতা থেকে শবের গন্ধ মন্দিরে পৌঁছায়। কিন্তু ভিতরে পা রাখার সাথে সাথেই এই গন্ধ হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যায়, যেন কিছুই ছিল না। তাছাড়া, মন্দিরের প্রধান প্রবেশদ্বারে প্রবেশ করার পর, আপনার মনে হবে যেন সমস্ত নেতিবাচকতা পিছনে ফেলে এসেছে। এই অভিজ্ঞতা প্রতিটি ভক্তকে শান্তি এবং মানসিক হালকাতার এক অনন্য অনুভূতি দেয়।
প্রকৃতপক্ষে, জগন্নাথ মন্দিরকে পৃথিবীর বৈকুণ্ঠ ধাম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র এবং আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে, এটিকে ইতিবাচক শক্তি এবং শান্তির কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বলা হয় যে এখানে কেবল দর্শন করলেই পাপ পরিষ্কার হয়। মন্দিরের স্থাপত্য এবং দেবতাদের বিশেষ শক্তি এতটাই ভারসাম্যপূর্ণ যে তারা বাইরের নেতিবাচক প্রভাবকে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। এটি এক ধরণের শক্তি ঢাল তৈরি করে। এই কারণেই ভক্তরা মন্দিরের ভিতরে পা রাখার সাথে সাথেই শান্তি এবং পবিত্রতা অনুভব করেন।
মন্দিরের চারপাশের আলোক সুবাস, বায়ুমণ্ডলের প্রশান্তি এবং মন্দিরের মহিমা একটি অনন্য অনুভূতি তৈরি করে। এই কারণেই জগন্নাথ মন্দির কেবল একটি ধর্মীয় স্থান নয়, বরং এমন একটি স্থান যা আত্মা এবং মনে শান্তি বয়ে আনে। সিংহদ্বারে প্রবেশ করার পর, আপনি অনুভব করেন যে মন্দিরটি প্রতিটি ব্যক্তিকে পবিত্র করছে। আপনি যতই দুশ্চিন্তা আপনার সাথে করে নিয়ে আসুন বা বাইরের জগতের যতই নেতিবাচকতা বয়ে আনুন না কেন, মন্দিরে প্রবেশ করার পর সবকিছুই হালকা এবং শান্তিপূর্ণ মনে হয়। এই শক্তি এবং রহস্যই এই মন্দিরের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য।

No comments:
Post a Comment