প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:২৬:০১ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও আন্তর্জাতিক মঞ্চে এক চাঞ্চল্যকর দাবী করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে পাকিস্তান গোপনে ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষা চালাচ্ছে। সিবিএস নেটওয়ার্কের সাথে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন যে অনেক দেশ পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে, যখন আমেরিকা সংযম প্রদর্শন করছে। এই বিবৃতি কেবল দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে না, বরং ভারত ও পাকিস্তানের পারমাণবিক নীতির উপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তবে, পাকিস্তান এই দাবিকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছে, এটিকে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বলে অভিহিত করেছে।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ট্রাম্পের দাবীর জবাবে বলেছেন যে ভারত যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত। হিন্দুস্তান টাইমসের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "যেসব দেশ পরীক্ষা করতে চায় তাদের তা করা উচিত। আমরা কাউকে থামাতে যাচ্ছি না, তবে সময় এলে ভারত যেকোনও চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে প্রস্তুত।" তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে ভারত এই ধরনের প্রতিবেদনে বিচলিত নয়। ভারতের নীতি সংযম এবং প্রস্তুতি উভয়ের উপর ভিত্তি করে। ভারতও পরীক্ষা চালাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি উত্তর দেন, "আগে দেখা যাক তারা করে কিনা।"
মার্কিন অভিযোগের জবাবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। একজন ঊর্ধ্বতন আধিকারিক বলেছেন, "আমরা একতরফা পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ নীতি মেনে চলি। আমরা আগে কখনও পারমাণবিক পরীক্ষা করিনি এবং এখন করার পরিকল্পনাও করছি না।" তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে এবং চীন ও উত্তর কোরিয়ার সাথে তাদের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারতের নীতি "প্রথমে ব্যবহার নয়" (NFU) নীতির উপর ভিত্তি করে রয়ে গেছে। ১৯৯৮ সালের পোখরান পরীক্ষার পর থেকে ভারতের পারমাণবিক নীতি "প্রথমে ব্যবহার নয়" (NFU) নীতির উপর ভিত্তি করে। এর অর্থ হল ভারত কখনই কোনও দেশের উপর প্রথমে পারমাণবিক আক্রমণ চালাবে না, তবে আক্রমণ করা হলে পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেবে।

No comments:
Post a Comment