লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১২ নভেম্বর ২০২৫: বাস্তু শাস্ত্রের অনেক গুরুত্ব রয়েছে আমাদের জীবনে। বাস্তুবিদরা মনে করেন, বাস্তু ঠিক থাকলে জীবন যাপন সহজ হয়। আর বাড়ির বাস্তু খারাপ হলে জীবনে নানান রকমের সমস্যা দেখা দেয়। ঠিক তেমনই বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়িতে রাখা রেফ্রিজারেটর কেবল একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস নয়; এটি বাড়ির শক্তি প্রবাহকেও প্রভাবিত করে। এর ওপরে ভুল জিনিসপত্র রাখলে ঘরের ইতিবাচক শক্তি দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং নেতিবাচক ভাব বৃদ্ধি পেতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক রেফ্রিজারেটরের ওপরে কী রাখা উচিৎ নয়-
দেব-দেবীর ছবি বা মূর্তি
রেফ্রিজারেটর একটি তামসিক (খাদ্য সঞ্চয়ের) যন্ত্র, তাই এতে পূজা-সম্পর্কিত জিনিসপত্র বা দেব-দেবীর ছবি রাখা বাস্তু ত্রুটি হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি বাড়ির সম্পদ এবং সমৃদ্ধির শক্তিকে প্রভাবিত করে।
জলের সাথে সম্পর্কিত জিনিসপত্র (যেমন বোতল, জগ, বরফের পাত্র)
রেফ্রিজারেটর নিজেই জল উপাদানের সাথে সম্পর্কিত। এর ওপরে জল সম্পর্কিত জিনিসপত্র রাখলে জল উপাদানের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়, যা বাড়িতে দ্বন্দ্ব, মানসিক চাপ এবং অস্থিরতা বাড়াতে পারে।
মশলা বা খাবারের পাত্র
রেফ্রিজারেটরের ওপরে খাদ্য সামগ্রী (যেমন আচার, মশলা এবং শস্য) মজুদ করলে রান্নাঘরের শক্তি ব্যাহত হয় এবং অসুস্থতা ও আর্থিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
ভারী ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি (মাইক্রোওয়েভ, ওভেন ইত্যাদি)
বাস্তু মতে, রেফ্রিজারেটরের ওপরে মাইক্রোওয়েভ বা ওভেন রাখলে আগুন এবং জলের উপাদানের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। এতে ঘরে কলহ, রাগ এবং মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়।
আবর্জনা বা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র (প্লাস্টিকের ব্যাগ, সংবাদপত্র, বাক্স)
এই ধরণের জিনিসপত্র নেতিবাচক শক্তি আকর্ষণ করে। রেফ্রিজারেটরের ওপরে এলোমেলো জিনিস রাখলে ক্ষতি, মানসিক অস্থিরতা এবং নেতিবাচকতা বৃদ্ধি পায়।
রেফ্রিজারেটরের উপরে কী রাখতে পারেন?
রেফ্রিজারেটরের ওপরে যদি জায়গা খালি রাখতে না চান, তাহলে আপনি সেখানে একটি মানি প্ল্যান্ট রাখতে পারেন অথবা একটি লাল কাপড় বিছিয়ে হালকা সাজসজ্জার জিনিস (যেমন একটি ছোট শোপিস) রাখতে পারেন। এটি শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখে এবং বাড়িতে ইতিবাচকতা বজায় রাখে। বাড়িতে ইতিবাচক শক্তির জন্য, রেফ্রিজারেটরের ওপরের জায়গাটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করুন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিতে পারেন।

No comments:
Post a Comment