কিডনি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা আমাদের শরীরের ফিল্টার হিসেবে কাজ করে। সামান্যতম ত্রুটিও পুরো শরীরের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এখানে, আমরা কিডনি বিকল হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণগুলি ব্যাখ্যা করব।
কিডনি স্বাস্থ্য: যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নতুন গবেষণায় দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ (CKD) বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর নবম প্রধান কারণ হিসেবে স্থান পেয়েছে। ২০২৩ সালে ভারতে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের রোগীর সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে CKD ভারতের জন্য একটি প্রধান জনস্বাস্থ্য উদ্বেগের বিষয়, এবং এই নীরব রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধই মূল হাতিয়ার।
এই রোগের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ সময়মতো সনাক্ত না হওয়ার কারণে। এখানে আমরা কিডনি রোগের কিছু লক্ষণ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করছি যা আপনার উপেক্ষা করা উচিত নয়।
প্রাথমিক লক্ষণগুলি যা আপনার উপেক্ষা করা উচিত নয়
কিডনি রোগ প্রায়শই প্রাথমিকভাবে অলক্ষিত থাকে, তবে এই লক্ষণগুলি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনার ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্থূলতা, অথবা কিডনি সমস্যার পারিবারিক ইতিহাস থাকে।
প্রস্রাবের পরিবর্তন
কমবেশি ঘন ঘন প্রস্রাব করা, বিশেষ করে রাতে, প্রথম সতর্কতা যা আপনার মনোযোগ দেওয়া উচিত। ফেনাযুক্ত বা বুদবুদের মতো প্রস্রাব (প্রোটিনুরিয়া) বা প্রস্রাবে রক্তও কিডনির ক্ষতির লক্ষণ। এই লক্ষণগুলি ইঙ্গিত দেয় যে আপনার কিডনি থেকে প্রোটিন বা রক্ত বের হতে পারে।
ফোলাভাব (এডিমা)
গোড়ালি, পা, হাত বা চোখের চারপাশে ফোলাভাব সবসময় ব্যস্ত জীবনযাত্রা বা মানসিক চাপের কারণে হয় না। এটি তরল ধরে রাখার কারণেও হতে পারে।
অস্বাভাবিক ক্লান্তি বা দুর্বলতা
কিডনির সমস্যা দেখা দিলে কিডনি সাধারণত যে বিষাক্ত পদার্থগুলি অপসারণ করে তা শরীরে জমা হতে শুরু করে। এর ফলে চরম ক্লান্তি এবং দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
ত্বকের চুলকানি, শুষ্কতা বা ক্রমাগত বমি বমি ভাব
ত্বকের চুলকানি, শুষ্কতা এবং ক্রমাগত বমি বা বমি বমি ভাব হল সাধারণ লক্ষণ যে বর্জ্য পদার্থগুলি ফিল্টার করার পরিবর্তে শরীরে জমা হচ্ছে।
ক্ষুধা হ্রাস
গুরুতর কিডনি রোগ আপনার পাচনতন্ত্রকেও বিরূপভাবে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে ক্ষুধা হ্রাস বা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

No comments:
Post a Comment