কিডনি ছাড়াও, এই চারটি জায়গায় পাথর হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে! এগুলো প্রতিরোধের কার্যকর উপায় সম্পর্কে জানুন - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, December 23, 2025

কিডনি ছাড়াও, এই চারটি জায়গায় পাথর হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে! এগুলো প্রতিরোধের কার্যকর উপায় সম্পর্কে জানুন

 


"পাথর" শব্দটি শুনলেই আমাদের বেশিরভাগেরই কিডনিতে পাথরের কথা মনে পড়ে। এটা ঠিক যে কিডনিতে পাথর হওয়া সাধারণ এবং বেদনাদায়ক। কিন্তু আপনি কি জানেন যে শরীরের অন্যান্য অংশেও পাথর তৈরি হতে পারে? এই পাথরগুলি বিভিন্ন কারণে তৈরি হয় এবং সমস্যাও তৈরি করতে পারে। আজ, আমরা কিডনি ছাড়া অন্য চারটি অংশে পাথর হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করব: পিত্তথলি, মূত্রাশয়, লালা গ্রন্থি এবং টনসিল। আসুন আমরা তাদের সম্পর্কে এবং তাদের প্রতিরোধের সহজ উপায়গুলি সম্পর্কে শিখি।


এই ৪টি জায়গায় পাথর তৈরির সম্ভাবনা থাকে

১. পিত্তথলিতে পাথর

পিত্তথলি হল লিভারের নীচের একটি ছোট অঙ্গ যা পিত্ত জমা করে। কোলেস্টেরল বা বিলিরুবিন এখানে জমা হয় এবং পাথর তৈরি করে। এই পাথরগুলি পেটের উপরের অংশে তীব্র ব্যথা, বমি এবং জন্ডিসের কারণ হতে পারে। উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার এবং স্থূলতা প্রধান কারণ।

২. মূত্রাশয়ের পাথর

ছোট কিডনির পাথর কখনও কখনও মূত্রাশয়ে আটকে যেতে পারে এবং বড় হতে পারে। এটি সম্পূর্ণরূপে প্রস্রাব করতে না পারার কারণে বা সংক্রমণের কারণে হতে পারে। এর ফলে প্রস্রাবের সময় ব্যথা, ঘন ঘন প্রস্রাব এবং রক্তপাতের মতো সমস্যা হতে পারে। বর্ধিত প্রোস্টেটযুক্ত পুরুষদের ঝুঁকি বেশি থাকে।


৩. লালা পাথর

মুখের লালা গ্রন্থিতে ক্যালসিয়াম জমা হলে পাথর তৈরি হতে পারে। এর ফলে ফোলাভাব, ব্যথা এবং লালা উৎপাদন কমে যেতে পারে। লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে শুষ্ক মুখ বা দুর্গন্ধ। অতিরিক্ত জল পান করা এবং দুর্বল মুখের স্বাস্থ্যবিধি এর কারণ হতে পারে।

৪. টনসিলের পাথর

টনসিলের ভেতরে খাবার, ব্যাকটেরিয়া, অথবা মৃত কোষ জমা হয়ে ছোট ছোট পাথর তৈরি করে। এর ফলে মুখের দুর্গন্ধ, গলা ব্যথা এবং ফুলে যাওয়া হয়। যদিও এগুলো বিশেষভাবে যন্ত্রণাদায়ক নয়, তবুও এগুলো বিরক্তিকর হতে পারে। মুখের স্বাস্থ্যবিধির অভাবই এর প্রধান কারণ।

এই পাথর প্রতিরোধের কার্যকর উপায়

এই পাথর প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় হল একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ করা। হাইড্রেটেড থাকার জন্য প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস জল পান করুন। লবণ, চিনি এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। বেশি করে ফল, শাকসবজি এবং ফাইবার খান। মুখ পরিষ্কার রাখতে প্রতিদিন মুখ ব্রাশ করুন এবং ধুয়ে ফেলুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন। যদি আপনার কোনও লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad