কিডনি এমন একটি অঙ্গ যা সমগ্র শরীরের স্বাস্থ্য রক্ষা এবং বজায় রাখার জন্য 24 ঘন্টা কাজ করে। এগুলি শরীরের জন্য ফিল্টার হিসাবে কাজ করে, প্রস্রাবের মাধ্যমে রক্ত থেকে বর্জ্য এবং অতিরিক্ত তরল অপসারণ করে এবং শরীরে জল, লবণ এবং খনিজ পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখে। এগুলি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সহায়তা করে এবং সুস্থ হাড় বজায় রাখে।
কিডনি যখন বিকল হয়ে যায় তখন মুখে এই লক্ষণগুলি দেখা দেয়
কিডনি বিকল হওয়ার ফলে ফোলাভাব (বিশেষ করে চোখের নিচে), শুষ্ক ত্বক, চুলকানি, বিবর্ণতা (হলুদ বা গাঢ়) এবং মুখের দুর্গন্ধের মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। কিডনি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ এবং অতিরিক্ত জল অপসারণ করতে অক্ষম হওয়ার কারণে এই লক্ষণগুলি দেখা দেয়। এই লক্ষণগুলি উপেক্ষা করা মারাত্মক হতে পারে, বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য। রোগীদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকা উচিত এবং অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
শোথ
কিডনি বিকল হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল চোখ এবং গালের চারপাশে ফোলাভাব, বিশেষ করে সকালে। যেহেতু কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি এবং লবণ সঠিকভাবে অপসারণ করতে অক্ষম, তাই তরল জমা হয়, যার ফলে মুখ ফুলে যায়। এটি কিডনি বিকল হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা লক্ষণ এবং এটি উপেক্ষা করা উচিত নয়।
ত্বকের শুষ্কতা এবং চুলকানি
যখন কিডনি সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ এবং অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করা যায় না এবং রক্তে জমা হয়, যার ফলে ত্বকে চুলকানি, শুষ্কতা, ফুসকুড়ি বা ক্ষত দেখা দেয়, যা ইউরেমিক প্রুরিটাস নামেও পরিচিত। এটি দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের একটি সাধারণ লক্ষণ। এটি তীব্র চুলকানিরও কারণ হয়।
ত্বকের বিবর্ণতা
কিডনি বিকল হলে ত্বক ফ্যাকাশে, ধূসর বা কালো হয়ে যেতে পারে কারণ কিডনি রক্তাল্পতা (রক্তাল্পতা) সৃষ্টি করতে পারে, যা লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন হ্রাস করে এবং শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ হ্রাস করে। এর ফলে ত্বকের বিবর্ণতা, ক্লান্তি এবং দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। তদুপরি, শরীরে বিষাক্ত পদার্থ এবং ক্যালসিয়াম জমা হওয়ার কারণে ত্বকের অন্যান্য পরিবর্তন (যেমন চুলকানি এবং সাদা দাগ) হতে পারে।

No comments:
Post a Comment