সফলা একাদশী মার্গশীর্ষ মাসের কৃষ্ণপক্ষে (কৃষ্ণপক্ষ) পড়ে এবং এটি অত্যন্ত শুভ এবং ফলপ্রসূ বলে বিবেচিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই উপবাস পালন করলে ভাগ্যের পথে বাধা দূর হয়, আর্থিক সংকট দূর হয় এবং পরিবারে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। ধর্মীয় গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে যে সফলা একাদশীতে করা পূজা এবং দান ব্যক্তির জীবনে বিশেষ প্রভাব ফেলে।
পঞ্জিকা অনুসারে, ২০২৫ সালে, পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথি, অর্থাৎ সাফল্য একাদশী, ১৫ ডিসেম্বর, সোমবার পালিত হবে। নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এই একাদশী উপবাস পালনকারীর প্রতিটি প্রচেষ্টায় সাফল্য বয়ে আনে এবং ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদে জীবনকে সফল করে তোলে। ভগবান বিষ্ণুর উপাসনা ও উপাসনার পাশাপাশি, এই দিনে দান-খয়রাতেরও বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।
বিশ্বাস করা হয় যে, সফলা একাদশীতে দান করলে দারিদ্র্যতা দূর হয়, আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। পদ্মপুরাণেও এই একাদশীর তাৎপর্য বর্ণনা করা হয়েছে। আসুন আমরা পাঁচটি মূল জিনিস সম্পর্কে জেনে নিই, যা সফলা একাদশীতে দান করলে দারিদ্র্য দূর হয় এবং ভগবান বিষ্ণু এবং দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভ হয়।
সাফল্য একাদশীতে দারিদ্র্য দূরীকরণের ৫টি মহা দান!
সাফল্য একাদশীতে, আপনার সামর্থ্য অনুসারে এই পাঁচটি জিনিস দান করলে বহু জীবনের পাপ মোচন হয় এবং সম্পদ বৃদ্ধি পায়।
খাদ্য দান
কেন দান: শাস্ত্র অনুসারে সাফল্য একাদশীতে ক্ষুধার্ত ও অভাবী ব্যক্তিদের খাদ্যশস্য (যেমন চাল, ডাল এবং গম) দান করা সর্বোত্তম দান বলে মনে করা হয়। সাফল্য একাদশীতে ক্ষুধার্ত ও অভাবী ব্যক্তিদের খাদ্যশস্য (যেমন চাল, ডাল এবং গম) দান করে ভগবান বিষ্ণু এবং মা অন্নপূর্ণা সন্তুষ্ট হন।
উপকারিতা: এই দান নিশ্চিত করে যে ঘরে কখনও খাদ্যের অভাব না হয় এবং জীবনে স্থিতিশীলতা আসে, যার ফলে দারিদ্র্য দূর হয়।
কালো বা সাদা তিলের বীজ দান
কেন দান: পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষে শাফল একাদশী পড়ে এবং এই মাসে তিল দান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। তিল দান শনির প্রভাব শান্ত করে এবং এটি একটি পুণ্য দান হিসাবে বিবেচিত হয়।
উপকারিতা: তিল দান করলে মানুষের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং সাফল্যের পথে থাকা সকল বাধা দূর হয়।
উষ্ণ পোশাক দান
কেন দান: যেহেতু এই উপবাস শীতকালে (ডিসেম্বর) পড়ে, তাই এই দিনে দুস্থ ও দরিদ্রদের যেমন কম্বল, সোয়েটার, শাল ইত্যাদি গরম পোশাক দান করা অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়।
কেন দান: উষ্ণ পোশাক দান করলে ভগবান বিষ্ণু সন্তুষ্ট হন এবং দাতার উপর বস্তুগত আরাম বর্ষণ করেন। এটি ব্যক্তির ভাগ্য উজ্জ্বল করে।
ফল দান
কেন দান: এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে ফল নিবেদন করা হয়। পূজার পর, এই ফলগুলি অসুস্থ বা অভাবী ব্যক্তিকে খাওয়ার আগে দান করা উচিত।
কেন দান: ফল দান করলে স্বাস্থ্য সমস্যা দূর হয় এবং দারিদ্র্য দূর হয়, জীবনে সাফল্যের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়।
ঘি প্রদীপ দান
কেন দান: সফলা একাদশীর রাতে, ভগবান হরিকে জাগরণের মাধ্যমে স্মরণ করা হয় এবং দীপদান (ঘি প্রদীপ জ্বালানো এবং দান করা) বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
উপকারিতা: ঘি প্রদীপ দান জ্ঞান এবং আলোর প্রতীক। এটি জীবনের অন্ধকার, অর্থাৎ দারিদ্র্যতা দূর করে এবং দেবী লক্ষ্মীর বাসস্থানের পথ প্রশস্ত করে।

No comments:
Post a Comment