বেভারলি ব্রডস্কি ছোটবেলায় একটি রক্ষণশীল ইহুদি পরিবারে বড় হয়েছিলেন। হলোকাস্টের ভয়াবহ গল্প শুনে তিনি ছোট বয়সেই ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস হারান এবং পরে নিজেকে পুরোপুরি নাস্তিক মনে করতে শুরু করেন।
মোটরবাইক দুর্ঘটনায় কী ঘটেছিল?
১৯৭০ সালে, মাত্র ২০ বছর বয়সে, লস অ্যাঞ্জেলেসে সানসেট বুলেভার্ডের কাছে তিনি একটি ভয়ংকর মোটরবাইক দুর্ঘটনায় পড়েন। তার মাথার খুলি ফেটে যায়, মুখের ডান দিক গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তাকে অনেকদিন UCLA হাসপাতালের ICU-তে রাখা হয়। ডাক্তাররা বলেন, এমন আঘাত তারা সাধারণত যুদ্ধক্ষেত্রে দেখেন।
ব্যথা অসহ্য হয়ে উঠলে, হতাশা থেকে বেভারলি সেই ঈশ্বরকে ডেকে ওঠেন যাকে তিনি বিশ্বাস করতেন না।
(G News–এর মতে)
তারপর কী দেখলেন তিনি?
ঈশ্বরকে ডাকতেই হঠাৎ তার ব্যথা উধাও হয়ে যায়। তিনি দেখলেন, তিনি নিজের শরীরের উপরে ভাসছেন।
তিনি ছাদের কাছে একটি উজ্জ্বল, শান্ত, দেবদূতের মতো মূর্তি দেখতে পেলেন। সেই মূর্তি তার হাত ধরল, আর তার ভয়, কষ্ট সব মিলিয়ে গেল। বেভারলির মতে—এটি কোনও সাধারণ আত্মা নয়, তাকে সাহায্য করার জন্যই পাঠানো হয়েছিল।
আলোর দিকে যাত্রা
দেবদূত তাকে জানালার বাইরে নিয়ে গেলেন, যেন উড়ে যাচ্ছে।
সে প্রশান্ত মহাসাগরের উপরে দিয়ে একটি উজ্জ্বল আলোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল।
এরপর একটি সরু, অন্ধকার পথ পেরিয়ে সে এমন এক স্থানে পৌঁছায় যা তার মতে জীবনের সবচেয়ে সুন্দর অভিজ্ঞতা।
সে কি ঈশ্বরকে দেখেছিল?
বেভারলি জানান, সেই আলোর মধ্যে তিনি এক জীবন্ত চেতনা অনুভব করেন—যেখানে করুণা, ভালোবাসা, জ্ঞান এবং শান্তি ছিল একসাথে।
কোনও রূপ বা লিঙ্গ ছিল না, কিন্তু তার মনে হয়েছিল—
“আমি ঈশ্বরের সামনে দাঁড়িয়ে আছি।”
তিনি মনে মনে বহু প্রশ্ন করলেন—
মানুষের কষ্ট, অন্যায়, দুঃখ—
এবং ঈশ্বর যেন শব্দ ছাড়া তার সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন।
তার মনে হয়েছিল, বিশাল মহাবিশ্বের সব জ্ঞান তার সামনে খুলে যাচ্ছে।
সব শেষ হয়ে যায়
হঠাৎই সেই অনুভূতি মিলিয়ে যায়, এবং তিনি নিজের আহত শরীরে ফিরে আসেন।
এই অভিজ্ঞতার পর তার জীবন বদলে যায়
এরপর থেকে বেভারলি আর নাস্তিক থাকেননি। তিনি ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন এবং পৃথিবীর নানা জায়গায় নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
লেখক কেনেথ রিং তার বই “Lessons From the Light”–এ বেভারলির গল্পটি অন্যতম শক্তিশালী অভিজ্ঞতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

No comments:
Post a Comment